সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার আশু রোগমুক্তি কামনায় আগামীকাল শুক্রবার বাদ জুমা দেশের সব মসজিদে দোয়া করার আহ্বান জানিয়েছে অন্তর্বর্তী সরকার। পাশাপাশি মন্দির, গির্জা, প্যাগোডাসহ সব ধর্মীয় উপাসনালয়ে নিজ নিজ ধর্মীয় রীতি অনুযায়ী প্রার্থনা করতে বলা হয়েছে।
বৃহস্পতিবার সকাল ৯টা ২০ মিনিটে প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূসের ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে পোস্ট করে এ আহ্বান জানানো হয়। একই সঙ্গে সর্বস্তরের মানুষকে খালেদা জিয়ার রোগমুক্তির জন্য প্রার্থনার অনুরোধ জানানো হয়েছে।
হাসপাতালে প্রধান উপদেষ্টার খোঁজখবর
খালেদা জিয়া বর্তমানে রাজধানীর এভারকেয়ার হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। তাঁর শারীরিক অবস্থা অপরিবর্তিত রয়েছে বলে জানা গেছে।
গতকাল বুধবার সন্ধ্যায় প্রধান উপদেষ্টা ইউনূস হাসপাতালটিতে গিয়ে তাঁর স্বাস্থ্যের খোঁজখবর নেন এবং পরিবারের সদস্য ও দলের নেতা-কর্মীদের ধৈর্য রাখার আহ্বান জানান। এ সময় মেডিকেল টিম খালেদা জিয়ার বর্তমান অবস্থা সম্পর্কে তাঁকে ব্রিফ করে।
সরকারের পক্ষ থেকে সব ধরনের সহযোগিতা অব্যাহত রাখার আশ্বাসও দেন প্রধান উপদেষ্টা।
বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকদের যোগদান
হাসপাতাল সূত্রে জানা যায়, অধ্যাপক শাহাবুদ্দিন তালুকদারের নেতৃত্বে দেশি-বিদেশি বিশেষজ্ঞদের সমন্বয়ে গঠিত মেডিকেল বোর্ড চিকিৎসা কার্যক্রম পরিচালনা করছে।
বুধবার রাতে চীন থেকে চারজন বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক ঢাকায় এসে বোর্ডে যোগ দেন—
- কাই জিয়ানফাং
- ইউয়ান জিন
- মিজ ঝাং ইউহুই
- মিজ মেং হং
এর আগে যুক্তরাজ্য থেকে বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক রিচার্ড বেলে ঢাকায় এসে খালেদা জিয়ার মেডিকেল রিপোর্ট পর্যালোচনা করেন।
বিদেশে নেওয়ার সম্ভাবনা
সংশ্লিষ্ট সূত্র বলছে, খালেদা জিয়াকে উন্নত চিকিৎসার জন্য বিদেশে নেওয়া যাবে কি না, তা নির্ধারণ করবেন বিদেশি বিশেষজ্ঞ ও মেডিকেল বোর্ডের সদস্যরা। তাঁদের মতামতের ওপরই নির্ভর করছে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের দেশে ফেরার সময়সূচিও।
বর্তমান শারীরিক অবস্থা
বিএনপি সূত্র জানিয়েছে,
- ফুসফুসের সংক্রমণ কিছুটা উন্নতির দিকে,
- হৃদ্যন্ত্রে জটিলতা আছে,
- অন্যান্য সমস্যা অবস্থাগতভাবে অপরিবর্তিত।
গত ২৩ নভেম্বর শ্বাসকষ্ট দেখা দিলে তাঁকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। রবিবার ভোরে অবস্থা অবনতি হলে তাঁকে এসডিইউ থেকে সিসিইউতে নেওয়া হয়।


