বাংলাদেশে প্রথমবারের মতো আয়োজিত তিন দিনের গ্লোবাল সোর্সিং এক্সপো থেকে দেশি প্রতিষ্ঠানগুলো মোট ৩ লাখ ১১ হাজার মার্কিন ডলারের ক্রয়াদেশ পেয়েছে। পাশাপাশি রপ্তানিকারকেরা আরও ৩ লাখ ৭২ হাজার ডলারের সম্ভাব্য ক্রয়াদেশের প্রস্তাব পেয়েছেন।
আজ বুধবার ঢাকার পূর্বাচলের বাংলাদেশ–চায়না ফ্রেন্ডশিপ এক্সিবিশন সেন্টারে অনুষ্ঠানের সমাপনীতে এ তথ্য জানান রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরোর (ইপিবি) ভাইস চেয়ারম্যান ও প্রধান নির্বাহী মোহাম্মদ হাসান আরিফ। অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য দেন ইপিবির মহাপরিচালক বেবী রানী কর্মকার। এছাড়া বক্তব্য দেন বিকেএমইএর নির্বাহী সভাপতি ফজলে শামীম এহসান, ফার্নিচার মালিক সমিতির চেয়ারম্যান সেলিম এইচ রহমান এবং বিপিজিএমইএর সভাপতি শামীম আহমেদ। ইপিবির পাঠানো সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য জানানো হয়।
ইপিবির ভাইস চেয়ারম্যান জানান, কম সময়ের প্রস্তুতি সত্ত্বেও এই আন্তর্জাতিকমানের সোর্সিং এক্সপো আয়োজন করা হয়েছে। সীমাবদ্ধতা থাকলেও ভবিষ্যতে এক্সপোটি নিয়মিতভাবে আয়োজনের পরিকল্পনার কথাও উল্লেখ করেন তিনি।
গত সোমবার রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরো (ইপিবি) ও বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের যৌথ আয়োজনে শুরু হওয়া এ গ্লোবাল সোর্সিং এক্সপোতে বাংলাদেশের আটটি গুরুত্বপূর্ণ রপ্তানি খাতের পণ্য প্রদর্শিত হয়—তৈরি পোশাক, চামড়া ও চামড়াজাত পণ্য, পাট ও পাটজাত পণ্য, কৃষিজাত পণ্য, প্লাস্টিক ও কিচেনওয়্যার, হোম ডেকর ও ফার্নিচার, ওষুধ এবং তথ্যপ্রযুক্তি (আইসিটি)।
ইপিবি জানায়, প্রদর্শনীতে অংশ নিয়েছে ১২৫টি প্রতিষ্ঠান, মোট ১৬৫টি স্টলে। বিশ্বের ১৪টি দেশের শতাধিক আন্তর্জাতিক ক্রেতা দেশীয় উৎপাদকদের সঙ্গে বৈঠক করেন এবং বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান ও কারখানা পরিদর্শন করেন। তিন দিনে অনুষ্ঠিত হয় ছয়টি সেমিনার ও ২৩৮টি বি-টু-বি বৈঠক।
সমাপনী অনুষ্ঠানে আট খাতের সেরা প্রতিষ্ঠানকে পুরস্কৃত করা হয়। পুরস্কারপ্রাপ্ত প্রতিষ্ঠানগুলো হলো—
কৃষি ও প্রক্রিয়াজাত কৃষিপণ্য: প্রাণ–আরএফএল গ্রুপ
তৈরি পোশাক: শিশু পরিবহন
ফার্নিচার ও হোম ডেকর: হাতিল
তথ্যপ্রযুক্তি খাত: ডিজি ইনফোটেক
পাট ও পাটজাত পণ্য: প্ল্যানেট কেয়ার
চামড়া ও চামড়াজাত পণ্য: এলএফএমইএবি
ওষুধ খাত: রেডিয়্যান্ট
প্লাস্টিক ও কিচেনওয়্যার: বেঙ্গল প্লাস্টিক


