গল্প সংকলন:ফারহানা ইসলাম
লেখক: সাবিত রেজা
সাধারনত সিনেমায় দেখা যায় এমন নরপিশাচদের।যারা করে যায় ভয়ংকর সব কাজ।যা আমাদের চিন্তার বাহিরে।এমন অনেক সিরিয়াল কিলার রয়েছে।আজকে তাদের একজন নিয়ে লিখা।
সময়টা ১৯২৪ সালের জুলাই।ফ্রান্সিস ম্যাকডোনেল তার বাসার সামনে খেলছিলো।তার মা এক বৃদ্ধ কে দেখতে পায়।সে তার ছেলের দিকে কেমন করে জেনো তাকাচ্ছিলো।একটু পর সে ফ্রান্সিস আর তার বন্ধু কে ডাকে।তারপর আর তাদের খুজে পাওয়া যাই নি।পরে তাকে মৃত পাওয়া যায়।নির্যাতনের ফলে তাকে আর চিনা যায়নি।
১৯২৭ সালের ১১ ফেব্রুয়ারি, বিলিগ্রিফনি তার এপার্টম্যানটের সামনে বন্ধুর সাথে ছিলো।পরে নিখোজ হয়ে যায় দুইজন।একজনকে ছাদের উপর পাওয়া যায়।তবে বিলিকে পাওয়া যায় না।তার বন্ধুকে জিজ্ঞেস করলে সে জানায় বিলিকে বুগিম্যান নিয়ে গেছে। কেউ তার কথার পাত্তা দেয়নি। সবাই ভেবেছিলো বিনি নদীতে পড়ে গেছিলো।
এডওয়ার্ড বাড।একজন ১৮ বছরের তরুন।একটা ভালো চাকরির আশায় পত্রিকায় বিজ্ঞাপন দিলো।ভালো চাকরির খোজ পেলো। ১৯২৮ সালের ২৮ মে তার বাড়িতে আসল ফ্রানক হাওয়ার্ড নামের ধুসর চুল আর বিশাল গোফ বিশিষ্ট নম্র ভদ্র লোক।সে জানালো ফামিংডেলে তার ২০ একরের একটা ফার্ম আছে। তিনি প্রতিদিন ১৫ পাউন্ড এ তাকে চাকরি দিলেন।অতপর তাকে পরদিন নিয়ে গেলেন। তার মা অনুমতি নিয়ে তারা বাসা থেকে গেলো।তবে এর পর আর বাড কে খোজে পাওয়া যায় নাই। পরে তার মা জানতে পারে যে এই নামের কোনো ফার্ম নেই। কিছুদিন পর তার কাছে একটি চিঠি আসল।যাতে তার ছেলেকে কিভাবে মেরে ফেলা হইছে তা বলা হইছে। তার ছেলেকে টুকরো করে ৯ দিন যাবৎ খেয়েছে।
পরে এই চিঠির সাথে ৭ বছর আগের চিঠির মিও পাওয়া যায়।পরে অনেক খোজের পর সেই ভয়ংকর খুনির সন্ধান পাওয়া যায়।অবশেশগে নআনা ঘটনার পর গোয়েন্দা কিং ১৯৩৪ সালের ১৩ ডিসেম্বর সেই খুনিকে গ্রেপ্তার করে।