সপ্তাহের চতুর্থ কার্যদিবস বুধবার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) অধিকাংশ সিকিউরিটিজের দর বেড়লেও সামগ্রিক লেনদেনে দেখা গেছে কিছুটা ভাটা। শেষ ঘণ্টার লেনদেনে বাজারে ক্রয়চাপ বাড়ায় বেশিরভাগ শেয়ার দরবৃদ্ধির তালিকায় নাম লেখায়। তবু আগের দিনের তুলনায় লেনদেনের পরিমাণ কমেছে উল্লেখযোগ্যভাবে।
ডিএসইর তথ্য অনুযায়ী, আজ লেনদেনে অংশ নেওয়া ৩১০ প্রতিষ্ঠানের মধ্যে ৩১০টির দর বেড়েছে, আর কমেছে মাত্র ৩৬টির। দরবৃদ্ধির হার দরপতনের চেয়ে প্রায় ৯ গুণ বেশি হওয়ায় সব সূচকেই উত্থান দেখা গেছে। তবে মূল্যস্ফীতি ও বিনিয়োগকারীদের সতর্ক অবস্থানের কারণে লেনদেন কমেছে বলে জানিয়েছেন বাজারসংশ্লিষ্টরা।
বাজার বিশ্লেষণে দেখা যায়, ‘এ’ ক্যাটাগরির ১৫৮টি, ‘বি’ ক্যাটাগরির ৬৬টি এবং ‘জেড’ ক্যাটাগরির ৮৬টি শেয়ার ও ইউনিটের দর বেড়েছে। অপরিবর্তিত রয়েছে ৩০টি সিকিউরিটিজ। সূচকের উত্থানের মধ্যেও অনেক বিনিয়োগকারী লভ্যাংশ ঘোষণার অপেক্ষায় থাকায় লেনদেনের গতি কিছুটা শ্লথ ছিল।
ডিএসইর প্রধান সূচক ডিএসইএক্স আগের দিনের তুলনায় ৫৪ পয়েন্ট বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৪ হাজার ৯০১ পয়েন্টে। শরীয়াহভিত্তিক সূচক ডিএসইএস বেড়েছে ১২ পয়েন্ট, আর ডিএসই–৩০ সূচক বেড়েছে ৪ পয়েন্ট, যা বাজারের সামগ্রিক ইতিবাচক মনোভাবের ইঙ্গিত দেয়।
তবে লেনদেনের পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ৪২০ কোটি ৫৬ লাখ টাকা, যা আগের দিনের তুলনায় প্রায় ৫৫ কোটি টাকা কম। আজ ডিএসইতে সর্বোচ্চ লেনদেন হয়েছে শাহজিবাজার পাওয়ার কোম্পানির শেয়ারে—১৩ কোটি ২৬ লাখ টাকা।
অন্যদিকে চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জেও (সিএসই) একই চিত্র দেখা গেছে। অধিকাংশ শেয়ারের দর বৃদ্ধি পেলেও লেনদেনে আংশিক ভাটা ছিল। সিএএসপিআই সূচক বেড়েছে ১১৫ পয়েন্ট এবং সিএসসিএক্স বেড়েছে ৬০ পয়েন্ট।
সিএসইতে আজ ৯ কোটি ৪২ লাখ টাকার সিকিউরিটিজ লেনদেন হয়েছে, যা গতকালের তুলনায় কিছুটা কম। ১৬০টি প্রতিষ্ঠানের শেয়ার লেনদেনের মধ্যে ১২৫টির দর বেড়েছে, কমেছে ২৫টির এবং অপরিবর্তিত রয়েছে ১০টির শেয়ার দর।
সিএ/এমআরএফ


