রাজধানীর পল্লবী এলাকায় গত সোমবার (১৭ নভেম্বর) যুবদল নেতা গোলাম কিবরিয়াকে গুলি করে হত্যা করার ঘটনায় অভিযান চালিয়ে পল্লবীর শীর্ষ সন্ত্রাসী পাতা সোহেল ওরফে মনির হোসেনকে গ্রেফতার করেছে র্যাব-৪। তার সঙ্গে গ্রেফতার হয়েছেন সহযোগী সুজন।
র্যাব-৪ এর মিডিয়া অফিসার মেজর মোহাম্মদ আবরার ফয়সাল সাদী জানান, মঙ্গলবার (১৮ নভেম্বর) রাতে সাভার ও টঙ্গী এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেফতার করা হয়েছে।
হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় কিবরিয়ার স্ত্রী সাবিহা আক্তার দীনা বাদী হয়ে পল্লবী থানায় একটি মামলা দায়ের করেছেন। মামলায় মোট পাঁচজনকে আসামি করা হয়েছে। এই পাঁচজনের মধ্যে রয়েছে জনি, সোহেল ওরফে পাতা সোহেল ওরফে মনির হোসেন, সোহাগ ওরফে কালু, মাসুম ওরফে ভাগিনা মাসুম এবং রোকন। এ ছাড়া অজ্ঞাত পরিচয় আরও সাত-আটজনেরও এই হত্যাকাণ্ডে জড়িত থাকার কথা বলা হয়েছে। মামলাটি পল্লবী থানা পুলিশ তদন্ত করছে।
গত সোমবার সন্ধ্যা পৌনে সাতটায় মিরপুর ১২-এর বি ব্লকের ‘বিক্রমপুর হার্ডওয়্যার অ্যান্ড স্যানিটারি’ দোকানে হেলমেট ও মুখোশ পরা তিন অস্ত্রধারী গোলাম কিবরিয়াকে লক্ষ্য করে গুলি চালায়। ঘটনাস্থল থেকে পালিয়ে যাওয়ার সময় তারা একটি ব্যাটারিচালিত অটোরিকশায় ওঠে। অটোরিকশা দ্রুত না চালানোর কারণে চালক আরিফ হোসেনকে কোমরে গুলি করা হয়। আহত চালককে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। রক্তাক্ত অবস্থায় কিবরিয়াকে সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হলে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। ঘটনার সময় স্থানীয়রা জনি ভূঁইয়াকে আটক করে পুলিশে সোপর্দ করে।
হত্যাকাণ্ডের ভিডিও সামাজিক মাধ্যমে ভাইরাল হয়েছে। সিসিটিভি ফুটেজে দেখা গেছে, কিবরিয়া দোকানে ঢোকার মাত্র কয়েক সেকেন্ডের মধ্যে তিন দুর্বৃত্ত ঢুকে তাকে লক্ষ্য করে গুলি চালানো শুরু করে। একজনের পরনে পাঞ্জাবি, অন্য দুজনের গায়ে শার্ট ছিল। সবার মাথায় হেলমেট এবং মুখে মুখোশ ছিল। ঘটনার সময় দোকানে নয়জন উপস্থিত ছিলেন। প্রথমে দুজন একসাথে কিবরিয়াকে গুলি করে, মাটিতে লুটিয়ে পড়ার পর একজন আরও তিনটি গুলি চালিয়ে দ্রুত পালিয়ে যায়।
সিএ/এমআরএফ


