বাংলাদেশের টেস্ট ইতিহাসে প্রথম ক্রিকেটার হিসেবে শততম ম্যাচে অংশ নিয়ে নতুন অধ্যায় লিখলেন মুশফিকুর রহিম। দীর্ঘ ২০ বছরের আন্তর্জাতিক ক্যারিয়ারে এই সাফল্য অর্জন করেন তিনি। বুধবার (১৯ নভেম্বর) মিরপুর শের-ই বাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে সিরিজের দ্বিতীয় ও শেষ টেস্টে এ মাইলফলক স্পর্শ করেন অভিজ্ঞ এই ব্যাটার। ম্যাচ শুরুর আগেই তাকে বিশেষ সংবর্ধনায় বরণ করে নেয় বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড।
ম্যাচ শুরুর আগে দুই দলের ক্রিকেটারদের উপস্থিতিতে বিসিবির পক্ষ থেকে দেওয়া হয় শুভেচ্ছা ও সম্মাননা। অনুষ্ঠানে মুশফিকের বাবা-মা, স্ত্রী ও সন্তানও উপস্থিত ছিলেন। ২০০৫ সালে যিনি তাকে টেস্টে অভিষেক ক্যাপ পরিয়েছিলেন, সেই সাবেক অধিনায়ক হাবিবুল বাশারের হাত থেকেই তিনি বিশেষ শততম টেস্ট ক্যাপ গ্রহণ করেন। এটি তার ক্যারিয়ারের অন্যতম আবেগময় মুহূর্ত হিসেবে ধরা হয়।
শুধু বিশেষ ক্যাপই নয়, সাবেক অধিনায়ক আকরাম খান উপহারস্বরূপ স্মারক প্রদান করেন মুশফিককে। পাশাপাশি বিসিবি সভাপতি আমিনুল ইসলাম ও নাজমুল আবেদীন ফাহিম ক্রেস্ট তুলে দেন তার হাতে। এছাড়া প্রথম ও শততম টেস্টে সতীর্থ হিসেবে থাকা ক্রিকেটারদের স্বাক্ষরযুক্ত একটি স্মারক জার্সিও উপহার দেওয়া হয় তাকে।
মাইলফলকের এই দিনে মুশফিক জানিয়েছেন তার অনুভূতি। তিনি পরিবারের সদস্য, সতীর্থ এবং সমর্থকদের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করে বলেন যে দেশের ক্রিকেটকে এগিয়ে নিতে তিনি সর্বোচ্চ প্রচেষ্টা অব্যাহত রাখবেন। দেশের হয়ে দীর্ঘদিন খেলতে পারাই তার কাছে বড় গর্বের বিষয় এবং ভবিষ্যতেও জাতীয় দলের সাফল্যের জন্য লড়াই চালিয়ে যেতে চান তিনি।
অধিনায়ক নাজমুল হোসেন শান্ত দলের অন্যতম ভরসা হয়ে থাকা মুশফিককে অভিনন্দন জানিয়ে আরও দীর্ঘ সময় তাকে জাতীয় দলে দেখতে চান বলে জানিয়েছেন। শান্ত বলেন, দলের স্বার্থকে সবচেয়ে বেশি প্রাধান্য দিয়ে মাঠে অবদান রাখা তরুণদের জন্য বড় অনুপ্রেরণা হয়ে থাকবে মুশফিকুর রহিমের পথচলা।
এদিকে দ্বিতীয় টেস্টে টস জিতে ব্যাটিং নেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে বাংলাদেশ। প্রথম টেস্টে দাপুটে জয়ের পর সিরিজে ১-০ ব্যবধানে এগিয়ে থাকা স্বাগতিক দল একাদশে দুই পরিবর্তন এনেছে। হাসান মাহমুদ ও নাহিদ রানার পরিবর্তে ফিরেছেন পেসার এবাদত হোসেন এবং খালেদ আহমেদ।
সিএ/এমআরএফ


