নানা রাজনৈতিক ও প্রশাসনিক চ্যালেঞ্জ সত্ত্বেও জাতিকে একটি সুন্দর, অবাধ ও গ্রহণযোগ্য জাতীয় নির্বাচন উপহার দেওয়ার প্রস্তুতি সম্পন্ন হয়েছে বলে জানিয়েছেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার এ এম এম নাসির উদ্দিন। নিবন্ধিত রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে আলোচনার দ্বিতীয় সেশনে তিনি এ প্রতিশ্রুতি ব্যক্ত করেন।
সোমবার (১৭ নভেম্বর) অনুষ্ঠিত এই সংলাপে সিইসি বলেন, প্রস্তুতিমূলক আলোচনা শুরু করতে বিলম্ব হলেও দেশের বাস্তব পরিস্থিতি বিবেচনায় ধীরে ও স্থিরভাবে এগিয়ে চলছে নির্বাচন কমিশন। তিনি জানান, প্রধান উপদেষ্টা ও ইসি একসঙ্গে একটি বিশ্বাসযোগ্য নির্বাচন আয়োজনের লক্ষ্যে কাজ করছে।
প্রবাসী ও বিশেষ ভোটারদের ভোটাধিকার নিশ্চিত: সিইসি জানান, এবার নির্বাচনী প্রক্রিয়ায় নতুন কিছু উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে, যা অতীতে আইনে থাকা সত্ত্বেও বাস্তবায়িত হয়নি। এর মধ্যে প্রবাসী বাংলাদেশিদের ভোটাধিকার নিশ্চিত করা, নির্বাচনে দায়িত্ব পালনকারী প্রায় ১০ লাখ কর্মকর্তার ভোটের ব্যবস্থা, নির্বাচনকালীন কর্মস্থলের বাইরে থাকা সরকারি চাকরিজীবীদের ভোটদান নিশ্চিত করা এবং কারাবন্দিদের ভোটাধিকার সুরক্ষিত রাখার পদক্ষেপ উল্লেখযোগ্য।
প্রবাসীদের ভোটে নতুন মডেল: তিনি জানান, বিশ্বব্যাপী প্রযুক্তিভিত্তিক ভোটগ্রহণের চ্যালেঞ্জ বিবেচনায় বিশেষজ্ঞদের পরামর্শে একটি হাইব্রিড বা লাকসী মডেল গ্রহণ করা হয়েছে। এই পদ্ধতিতে অনলাইনে নিবন্ধন হবে, কিন্তু ভোট প্রদান ডাকযোগে ম্যানুয়ালি সম্পন্ন হবে।
আচরণবিধি মেনে চলার আহ্বান: সিইসি বলেন, আচরণবিধির খসড়া প্রকাশ করে জনগণের মতামত নেওয়া হয়েছে এবং প্রাপ্ত মতামতের ভিত্তিতে তা সংশোধন করা হয়েছে। তিনি রাজনৈতিক দলগুলোর সহযোগিতা কামনা করে বলেন, ভোটারদের ওপর দলগুলোর প্রত্যক্ষ প্রভাব রয়েছে, যা আচরণবিধি বাস্তবায়নে বড় ভূমিকা রাখতে পারে। নির্বাচন কমিশন তার দায়িত্ব পালন করবে, তবে তৃণমূল পর্যায়ে শৃঙ্খলা বজায় রাখতে রাজনৈতিক নেতৃত্বের সক্রিয় ভূমিকা অপরিহার্য।
সিএ/এমআরএফ


