তাইওয়ানকে কেন্দ্র করে নতুন করে চীন ও জাপানের মধ্যে কূটনৈতিক উত্তেজনা সৃষ্টি হয়েছে। শুক্রবার (১৪ নভেম্বর) চীনের প্রতিরক্ষা দফতর হুঁশিয়ারি দিয়ে জানায়, টোকিও যদি তাইওয়ান পরিস্থিতিতে হস্তক্ষেপ অব্যাহত রাখে, তবে জাপানকে ধ্বংসাত্মক সামরিক পদক্ষেপের মুখোমুখি হতে হতে পারে। এই সতর্কবার্তা প্রকাশ্যে আসার কয়েক ঘণ্টা পরই জাপান সরকার চীনা রাষ্ট্রদূতকে তলব করে তীব্র প্রতিবাদ জানায়।
চীনের কড়া মন্তব্যের পর শনিবার (১৫ নভেম্বর) বেইজিং তাদের নাগরিকদের জাপান ভ্রমণ আপাতত স্থগিত রাখার পরামর্শ দেয়। পরিস্থিতি জটিল হওয়ায় দুই দেশের মধ্যে কূটনৈতিক টানাপোড়েন আরও বাড়তে থাকে।
জাপানের প্রধানমন্ত্রী সানাইয়ে তাকাইচি সম্প্রতি পার্লামেন্টে বলেন, চীন যদি তাইওয়ানে সামরিক অভিযান পরিচালনা করে, তবে তা জাপানের নিরাপত্তার জন্য সরাসরি হুমকি হয়ে দাঁড়াবে। এ কারণে টোকিওকে বাধ্য হয়ে পাল্টা সামরিক প্রস্তুতি নিতে হতে পারে। তার এই মন্তব্যের পরই দুই দেশের সম্পর্ক নতুন করে উত্তপ্ত হয়।
গত তিন বছর ধরে তাইওয়ান প্রণালীতে চীনের সামরিক তৎপরতা আন্তর্জাতিক উদ্বেগ বাড়িয়েছে। বেইজিং বারবার তাইওয়ানের জলসীমা ও আকাশসীমায় প্রবেশ করে আন্তর্জাতিক আইন লঙ্ঘন করছে বলে অভিযোগ রয়েছে। ২০২২ সালের অগস্টে ন্যান্সি পেলোসির তাইওয়ান সফরের পর পরিস্থিতি আরও উত্তেজনাপূর্ণ হয়। সফরের পর ধারাবাহিকভাবে তাইওয়ানের আকাশসীমায় চীনা যুদ্ধবিমান ঢুকে পড়ে, যা নতুন সংকট তৈরি করে।
এ সময় মার্কিন সপ্তম নৌবহরের যুদ্ধজাহাজগুলো তাইওয়ান প্রণালীতে প্রবেশ করে। পাশাপাশি পূর্ব চীন সাগর থেকে জাপানের কয়েকটি যুদ্ধজাহাজও একই এলাকায় পৌঁছায়। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর প্রথমবার জাপানি নৌবাহিনীর প্রবেশ নিয়ে চীন-জাপান সম্পর্কের মধ্যে বড় ধরনের বিরোধের সূচনা হয়। তাইওয়ান ইস্যু ঘিরে বর্তমান পরিস্থিতি তাই অঞ্চলে আরও অস্থিরতা বাড়াতে পারে বলে আশঙ্কা বিশ্লেষকদের।
সিএ/এমআরএফ


