বাংলাদেশ জাতীয় দলের নতুন ব্যাটিং কোচ হিসেবে দায়িত্ব নিয়েছেন মোহাম্মদ আশরাফুল। দীর্ঘ ১১ বছর পর জাতীয় দলের ড্রেসিংরুমে ফিরছেন তিনি, তবে এবার খেলোয়াড় নয়— কোচ হিসেবে।
স্পট ফিক্সিংয়ের দায়ে নিষেধাজ্ঞা কাটিয়ে ক্রিকেটে ফেরার পর জাতীয় দলে আর সুযোগ পাননি আশরাফুল। এবার কোচিংকে তিনি নিজের নতুন অধ্যায় হিসেবে দেখছেন।
ক্রিকবাজকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে আশরাফুল বলেন, গত দুই বছর ধরে তিনি কোচিংয়ে যুক্ত হওয়ার পরিকল্পনা করছিলেন। রংপুর রাইডার্স, বিপিএল ও এনসিএলে কাজের অভিজ্ঞতা অর্জনের পর এবার জাতীয় দলের ব্যাটিং ইউনিটের দায়িত্ব নেওয়াকে বড় চ্যালেঞ্জ হিসেবে দেখছেন তিনি।
তিনি বলেন, “জাতীয় দলের প্রায় সবাইয়ের সঙ্গে আমি খেলেছি। তাই তাদের চিনিও, বুঝিও। আমি জানি, কেন সফল হয়েছি, কোথায় ব্যর্থ হয়েছি। ক্রিকেটে মানসিক দৃঢ়তা সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ। মাথা পরিষ্কার থাকলে পারফরম্যান্সও ভালো হয়— এই জায়গাটাতেই আমি কাজ করব।”
আশরাফুল জানান, ব্যাটসম্যানদের টেকনিকে বড় পরিবর্তন আনার কোনো পরিকল্পনা নেই তার। “চ্যান্ডারপলের মতো ব্যাটসম্যানরাও ভিন্ন স্টাইলে হাজার হাজার রান করেছেন। আসল বিষয় হলো মানসিক দৃঢ়তা,” বলেন তিনি।
তিনি আরও যোগ করেন, খেলোয়াড়দের মানসিকভাবে শক্ত করে তোলাই তার মূল লক্ষ্য। “যত বেশি মানসিকভাবে প্রস্তুত থাকবে, তত সহজে স্বাভাবিক খেলাটা খেলতে পারবে,” বলেন তিনি।
আসন্ন আয়ারল্যান্ড সিরিজে টেস্ট দলকে অভিজ্ঞ মনে করছেন আশরাফুল। “মুশফিক, শান্ত, মিরাজ, লিটন, মুমিনুল— সবাই অভিজ্ঞ। তাই টেস্টে কাজটা সহজ হবে,” জানান তিনি।
তবে টি-টোয়েন্টিতে কিছু উন্নতির প্রয়োজন আছে বলে মনে করেন নতুন এই ব্যাটিং কোচ। “টি-টোয়েন্টিতে পাওয়ারের চেয়ে টাইমিং বেশি গুরুত্বপূর্ণ। ১৪০ কিলোমিটার গতির বল সামলাতে চাইলে সঠিক টাইমিং দরকার— আমি সেটাই উন্নত করতে চাই,” বলেন আশরাফুল।
সিনিয়র সহকারী কোচ মোহাম্মদ সালাহউদ্দিনের সঙ্গে সম্পর্ক নিয়েও আশরাফুল আশাবাদী। তিনি বলেন, “সালাহউদ্দিন ভাইয়ের সঙ্গে আমার সম্পর্ক ভালো। তিনি কাজ করেছেন, আমি তখন অধিনায়ক ছিলাম। এখনো আমাদের মধ্যে কোনো সমস্যা নেই।”
সিএ/এমআরএফ


