ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন সামনে রেখে জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি) ৩০০ আসনে প্রার্থী দেওয়ার প্রস্তুতি নিচ্ছে। প্রাথমিকভাবে ১৫০ আসনের প্রার্থী তালিকা প্রকাশ করা হবে। তবে একই সঙ্গে দল জোট গঠন বা আসন সমঝোতা নিয়ে অন্যান্য দলের সঙ্গে আলোচনা চালিয়ে যাবে। বিএনপির তিনটি আসন ফেনী-১, দিনাজপুর-৩ ও বগুড়া-৭ ছাড়াও বাকি ২৯৭ আসনে প্রার্থী থাকবে।
এনসিপির শীর্ষ নেতাদের আসন প্রাথমিকভাবে প্রায় চূড়ান্ত। অন্যান্য আসনের প্রার্থী বাছাই প্রক্রিয়া চলছে। দলের কেন্দ্রীয় নেতারা ছাড়াও স্থানীয় প্রভাবশালী, বিএনপি ও জামায়াতসহ বিভিন্ন দলের মনোনয়ন বঞ্চিত ‘হেভিওয়েট’ ও তরুণ নেতাদের টানার চেষ্টা করা হচ্ছে।
এনসিপির যুগ্ম আহ্বায়ক সারোয়ার তুষার বলেন, জোট বা আসন সমঝোতার বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত হয়নি। প্রার্থী তালিকা প্রকাশের পর মাঠ যাচাই করে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। দলের মুখ্য সমন্বয়ক নাসীরুদ্দীন পাটওয়ারী জানান, নির্বাচন পরিচালনা, প্রার্থী বাছাই, মাঠ সমন্বয়, আইনি ও প্রশাসনিক কার্যক্রম, প্রচারণা ও প্রশিক্ষণসহ সব বিষয় পরিকল্পনা অনুযায়ী পরিচালিত হচ্ছে।
প্রার্থী তালিকায় কেন্দ্রীয় নেতাদের পাশাপাশি স্থানীয় প্রভাবশালী ও ‘মনোনয়ন বঞ্চিত’ নেতারা থাকবেন। ঢাকা-১১ আসনে নাহিদ ইসলাম, রংপুর-৪ আখতার হোসেন, কুমিল্লা-৪ হাসনাত আবদুল্লাহ, পঞ্চগড়-১ সারজিস আলম, নোয়াখালী-৬ আব্দুল হান্নান মাসউদ, ভোলা-১ সামান্তা শারমিন, ঢাকা-১৪ আরিফুল ইসলাম আদীব এবং নরসিংদী-২ সারোয়ার তুষার প্রার্থী হবেন।
এনসিপি স্থানীয় পর্যায়ের সক্ষমতা তৈরি করার পাশাপাশি পরিস্থিতি অনুযায়ী জোট বা সমঝোতার সিদ্ধান্ত নেবে। দল নির্বাচন কেন্দ্র করে প্রাথমিকভাবে প্রার্থী তালিকা প্রকাশ করবে এবং পরে জনগণের সম্মতি ও মাঠ যাচাইয়ের মাধ্যমে চূড়ান্ত তালিকা ঘোষণা করবে।
সিএ/এমআরএফ


