কানাডায় ভিসা আবেদনে জালিয়াতির ঘটনা বাড়ার পর দেশটির সরকার নতুন ক্ষমতা প্রয়োগের উদ্যোগ নিয়েছে। অভ্যন্তরীণ সরকারি নথি অনুযায়ী, ভারত ও বাংলাদেশকে ‘নির্দিষ্ট চ্যালেঞ্জিং দেশ’ হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে। এতে অভিবাসন, শরণার্থী ও নাগরিকত্ব বিভাগ (আইআরসিসি) এবং কানাডা বর্ডার সার্ভিসেস এজেন্সি (সিবিএসএ) মিলিত হয়ে ভ্রমণ ভিসার জাল আবেদন চিহ্নিত ও বাতিল করার জন্য ক্ষমতা বৃদ্ধির প্রস্তাব করেছে।
সিবিসি নিউজের প্রতিবেদন অনুযায়ী, পার্লামেন্টে বিল সি-১২ প্রস্তাবটি পাস হলে সরকার গণহারে ভিসা বাতিলের একচ্ছত্র ক্ষমতা পাবে। সূত্রে জানা গেছে, এই উদ্যোগে মার্কিন অংশীদারদের সঙ্গে একটি ওয়ার্কিং গ্রুপও গঠন করা হয়েছে। তবে প্রকাশ্যে ইমিগ্রেশনমন্ত্রী লেনা দিয়াব বলেন, মহামারি বা যুদ্ধের প্রেক্ষাপটে এই ক্ষমতা প্রয়োজন, নির্দিষ্ট কোনো দেশের নাম উল্লেখ করেননি।
সুশীলসমাজের ৩০টিরও বেশি সংগঠন এই সিদ্ধান্ত নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছে। মাইগ্র্যান্ট রাইটস নেটওয়ার্কের মতো সংগঠনগুলো বলছে, গণহারে ভিসা বাতিলের ক্ষমতা সরকারকে গণবিরোধী করে তুলতে পারে।
উল্লেখযোগ্যভাবে, হিন্দুস্তান টাইমসের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ভারতের শিক্ষার্থীদের ভিসা বাতিলের হার রেকর্ড পরিমাণে বেড়েছে। চলতি বছরের আগস্টে প্রতিটি চারটি আবেদনকারীর মধ্যে তিনটির আবেদন বাতিল হয়েছে। অর্থাৎ প্রায় ৭৪ শতাংশ ভারতীয় শিক্ষার্থীর স্টাডি পারমিট বাতিল হয়েছে। ২০২৩ সালের আগস্টে এই হার ছিল ৩২ শতাংশ। একই সময়ে ভারতীয় আবেদনকারীর সংখ্যা ২০,৯০০ থেকে কমে ৪,৫১৫-এ নেমেছে।
কানাডা সরকার জানিয়েছে, শিক্ষার্থী ভিসার জালিয়াতি এবং অস্থায়ী অভিবাসন নিয়ন্ত্রণে রাখতে তারা আন্তর্জাতিক স্টাডি পারমিটের সংখ্যা কমিয়েছে। রয়টার্সের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ২০২৩ সালে প্রায় ১,৫৫০টি জাল ভর্তি স্বীকৃতিপত্র ধরা পড়ে, তবে নতুন যাচাইকরণ ব্যবস্থার মাধ্যমে গত বছর আরও ১৪,০০০-এর বেশি জাল নথি শনাক্ত করা হয়েছে।
সিএ/এমআরএফ


