দেশের প্রধান পুঁজিবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) সোমবার (৪ নভেম্বর) অধিকাংশ শেয়ার ও ইউনিটের দরপতন হয়েছে। এদিন দর বেড়েছে যেসব সিকিউরিটিজের তার তুলনায় চারগুণ বেশি সংখ্যক সিকিউরিটিজের দর কমেছে। এতে ডিএসইর সবগুলো সূচক প্রায় ১ শতাংশ বা তার বেশি কমেছে। এক্সচেঞ্জে লেনদেনও দুই কার্যদিবস পর ৫০০ কোটি টাকার নিচে নেমেছে।
বাজার বিশ্লেষণে দেখা গেছে, সোমবার ডিএসইতে মোট ৩৯৬টি প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিট লেনদেন হয়েছে। এর মধ্যে ৫৬টির দর বেড়েছে, ২৭৭টির দর কমেছে এবং ৬৩টির দর অপরিবর্তিত রয়েছে। দরপতন হওয়া সিকিউরিটিজের মধ্যে ‘এ’ ক্যাটাগরির ১৬৭টি, ‘বি’ ক্যাটাগরির ৫৮টি এবং ‘জেড’ ক্যাটাগরির ৫২টি শেয়ার ও ইউনিট রয়েছে।
ডিএসইর প্রধান মূল্যসূচক ডিএসইএক্স আগের দিনের তুলনায় ৪২ পয়েন্ট বা প্রায় ১ শতাংশ কমে ৫ হাজার ১৯ পয়েন্টে নেমেছে। গতকাল সূচক ছিল ৫ হাজার ৬১ পয়েন্ট। অন্য সূচকগুলোর মধ্যে ডিএসই শরিয়াহ সূচক (ডিএসইএস) ১১ পয়েন্ট কমে ১ হাজার ৫৬ পয়েন্টে এবং ডিএসই-৩০ সূচক ১৫ পয়েন্ট কমে ১ হাজার ৯৪৬ পয়েন্টে অবস্থান নিয়েছে। ডিএসইএক্সের আজকের অবস্থান ৪ মাসের মধ্যে সর্বনিম্ন।
লেনদেনের পরিমাণও কমেছে। গত কার্যদিবসের তুলনায় লেনদেন ৬৫ কোটি ৪ লাখ টাকা কমে ৪৫৩ কোটি ৫৮ লাখ টাকায় দাঁড়িয়েছে। আগেরদিন এটি ছিল ৫১৮ কোটি ৬২ লাখ টাকা।
চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জেও (সিএসই) সোমবার সব সূচক কমেছে। সিএসইর সার্বিক সূচক সিএসপিআই ৯১ পয়েন্ট কমে ১৪ হাজার ১৩৪ পয়েন্টে, আর সিএসসিএক্স ৫৫ পয়েন্ট কমে ৮ হাজার ৭২২ পয়েন্টে অবস্থান নিয়েছে।
সিএসইতে মোট ১৯১টি প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিট লেনদেন হয়েছে। এর মধ্যে ৫০টির দর বেড়েছে, ১১৪টির দর কমেছে এবং ২৭টির দর অপরিবর্তিত ছিল। এক্সচেঞ্জে মোট লেনদেন হয়েছে ১৮ কোটি ৭৫ লাখ টাকা, যা আগেরদিন ২৪ কোটি ৫৩ লাখ টাকার চেয়ে কম।
সিএ/এমআরএফ


