৪৫০ কোটি বছরের বেশি সময় ধরে পৃথিবীর একমাত্র চাঁদ আমাদের সঙ্গে রয়েছে। তবে সম্প্রতি জ্যোতির্বিজ্ঞানীরা একটি নতুন মহাজাগতিক বস্তু বা গ্রহাণু শনাক্ত করেছেন, যা ‘কোয়াজি মুন’ নামে পরিচিত। এটি পৃথিবীর মতোই সূর্যকে প্রদক্ষিণ করছে, তবে মাধ্যাকর্ষণ দ্বারা আবদ্ধ নয়। বর্তমানে এটি পৃথিবী থেকে প্রায় ৫৯ মিলিয়ন কিলোমিটার দূরে অবস্থান করছে এবং বিজ্ঞানীরা এর নাম দিয়েছেন ‘২০২৫ পিএন৭’।
হাওয়াইয়ের প্যান স্টারস মানমন্দিরের জ্যোতির্বিজ্ঞানীরা সেপ্টেম্বরে এই নতুন কোয়াজি মুনের সন্ধান পান। ৬২ ফুট উচ্চতার এই বস্তু পৃথিবীর কক্ষপথে থাকা অন্যান্য কোয়াজি মুনের মধ্যে সবচেয়ে ছোট। টেলিস্কোপ দিয়ে এটি দেখা সম্ভব, তবে খালি চোখে দেখা যাবে না।
গবেষকরা জানিয়েছেন, কোয়াজি মুন ১৯৬০-এর দশক থেকে সূর্যের চারপাশে পৃথিবীর মতো কক্ষপথে ঘুরছে। এটি এবং অন্যান্য কোয়াজি মুনগুলো প্রাকৃতিক এবং সূর্যের চারপাশে ঘূর্ণায়মান। তবে নতুন এই ‘কোয়াজি মুন’ দীর্ঘমেয়াদি অতিথি নয় এবং ভবিষ্যতে মহাবিশ্বের অন্যত্র চলে যাবে।
১৯৯১ সালে প্রথম কোয়াজি স্যাটেলাইট আবিষ্কৃত হয়। এর আগে আবিষ্কৃত কোয়াজি মুন ‘কামোওয়ালেওয়া’ প্রায় ৩৮১ বছর ধরে পৃথিবীর কক্ষপথে ঘুরছে। বিশেষজ্ঞরা জানান, কোয়াজি মুন এবং সাময়িক ‘মিনিমুন’ পৃথিবীর মহাকাশ-প্রতিবেশের অংশ, যা বিভিন্ন উৎস থেকে এসেছে, যেমন প্রধান গ্রহাণু বলয় বা বড় কোনো মহাজাগতিক আঘাতের ফল।
সিএ/এমআর


