ছোট পর্দার জনপ্রিয় অভিনেত্রী তানজিন তিশাকে প্রতারণার অভিযোগে লিগ্যাল নোটিশ দিয়েছেন ঝিলিক নামের এক নারী উদ্যোক্তা। বুধবার (২২ অক্টোবর) অভিনেত্রীর কাছে আনুষ্ঠানিকভাবে এই নোটিশ পাঠানো হয়েছে বলে জানানো হয়েছে।
নোটিশে বলা হয়েছে, তিশা দেশের পরিচিত মডেল, অভিনেত্রী ও টিভি উপস্থাপিকা হিসেবে দীর্ঘদিন মিডিয়া জগতে সক্রিয়। নোটিশকারীর অভিযোগ অনুযায়ী, সম্প্রতি তিশা তার ভেরিফায়েড ইনস্টাগ্রাম আইডি থেকে নোটিশকারীর অনলাইন পেজে যুক্ত হয়ে একটি শাড়ি পছন্দ করেন, যার বাজার মূল্য ২৮ হাজার ৮০০ টাকা। পেজের পক্ষ থেকে পরিচিত অভিনেত্রী হওয়ায় সরল বিশ্বাসে উক্ত শাড়িটি প্রমোশনের বিনিময়ে তিশার বাসায় পৌঁছে দেয়া হয়। নোটিশে বলা হয়েছে, তিশা শাড়িটি গ্রহণ করে পেজ প্রমোশনের প্রতিশ্রুতি দেন এবং বিভিন্ন ভয়েস ম্যাসেজ ও মেসেজে সেটি পরিধান করে প্রচারণা করবেন বলে আশ্বস্ত করেন।
তবে নোটিশকারীর দাবি, গত ১৮ জানুয়ারি শাড়িটি হস্তান্তর করার পর থেকে প্রায় ১০ মাস কাটলেও তিশা শাড়িটি পরিধান করে পেজ প্রমোশন করেননি এবং গত ছয় মাসেরও বেশি সময় ধরে পেজ কর্তৃপক্ষের সঙ্গে কোনো যোগাযোগ রাখেননি। নোটিশে বলা হয়েছে, পেজ কর্তৃপক্ষ বহুবার যোগাযোগ করার চেষ্টা করলে তিশার পক্ষ থেকে কোনো সাড়া পাওয়া যায়নি এবং তিনি ইচ্ছাকৃতভাবে কথোপকথন থেকে বিরত ছিলেন। পরবর্তীতে অনলাইন সংবাদমাধ্যমে বিষয়টি প্রকাশিত হলে তিশা তাঁর ভেরিফায়েড ফেসবুক আইডি থেকে লিখেন, ‘গিফট নিয়ে হয়ে গেলাম প্রতারক’। নোটিশকারী এ মন্তব্যকে মানহানিকর ও বানোয়াট উল্লেখ করেছেন।
নোটিশে তিশার বিরুদ্ধে প্রতারণার অভিযোগ উঠিয়ে উল্লেখ করা হয়েছে যে, শাড়িটির মূল্য ও প্রমোশন কার্য সম্পাদন না করে তিশা দীর্ঘদিন ধরে পেজ কর্তৃপক্ষের সঙ্গে সম্পর্ক বিচ্ছিন্ন করেছেন, যা বাংলাদেশ দণ্ডবিধি অনুযায়ী শাস্তিযোগ্য অপরাধ। অতএব নোটিশকারীর দাবি, নোটিশ প্রাপ্তির ৭ দিনের মধ্যে তিশা ২৮ হাজার ৮০০ টাকার শাড়ির মূল্যসহ ক্ষতিপূরণ হিসেবে মোট ১ লাখ টাকা পরিশোধ করবেন এবং লিখিতভাবে ক্ষমা প্রার্থনা করবেন। নোটিশে বলা হয়েছে, দাবি মেনে না নিলে নোটিশকারী বাংলাদেশ দণ্ডবিধির সংশ্লিষ্ট ধারা সহ অন্যান্য বিধান মতে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করবেন।
এ প্রসঙ্গে নোটিশ পাঠানোর পক্ষের বিশদ পরিচয় বা পরবর্তী আইনি কার্যক্রম সম্পর্কে এখনো আনুষ্ঠানিকভাবে বিস্তারিত জানা যায়নি। তানজিন তিশার পক্ষ থেকে আনুষ্ঠানিক কোনো প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি বলে জানা গেছে।
সিএ/এমআর