আরেকটি রুদ্ধশ্বাস ম্যাচে হারের স্বাদ পেল বাংলাদেশের নারী ক্রিকেট দল। দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে ২৩৩ রানের লক্ষ্য রক্ষা করতে লড়াই করেও ৪৯.৩ ওভারে ম্যাচ হারতে হয় টাইগ্রেসদের। একাধিক ক্যাচ ফেলে দেওয়া ও রানআউটের সুযোগ কাজে লাগাতে না পারায় শেষ পর্যন্ত ম্যাচটি হাতছাড়া হয়। তবে খেলোয়াড়দের লড়াকু মানসিকতায় গর্বিত অধিনায়ক নিগার সুলতানা জ্যোতি।
লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে ৭৮ রানে ৫ উইকেট হারায় দক্ষিণ আফ্রিকা। সেখান থেকে লরা উলভার্টের ব্যাটে ভর করে ঘুরে দাঁড়ায় প্রোটিয়ারা। তবে ১৯৮ রানে ৭ উইকেট হারানোর পর আবারও ম্যাচের মোড় ঘুরে যায় বাংলাদেশের পক্ষে। জয়ের জন্য তখন দক্ষিণ আফ্রিকার প্রয়োজন ছিল মাত্র ৯ রান। সেই সময় ইনফর্ম ব্যাটার নাদিনে ডি ক্লার্ক লং অফে ক্যাচ দিয়েছিলেন। কিন্তু স্বর্ণা আক্তারের হাতে সহজ সেই ক্যাচটি ফসকে যায়। এর আগেও সুমাইয়া আক্তার ডিপ মিডে ক্যাচ ফেলে চার রান দেন। এছাড়া বাংলাদেশ বেশ কয়েকটি রানআউটের সুযোগও নষ্ট করে।
তবু শেষ পর্যন্ত দলের প্রচেষ্টায় গর্বিত জ্যোতি বলেন, “শেষ বল পর্যন্ত মেয়েরা যেভাবে লড়েছে, আমি সত্যিই গর্বিত। তারা ড্রেসিংরুমে কাঁদছে, কারণ তারা অনেক তরুণ। আজ সবাই ১১০ শতাংশ দিয়েছে। আবেগপ্রবণ হলেও তাদের বিশ্বাস ছিল আমরা জিতব। এটি আমাদের জন্য শেখার মতো অভিজ্ঞতা।”
টাইগ্রেসদের ব্যাটিং ছিল ধীরগতির। উইকেট না হারালেও ১০ ওভারে রান ওঠে মাত্র ২৮। প্রথম উইকেটের জুটি ভাঙে ১৬.১ ওভারে ৫৩ রানে। জ্যোতি বলেন, “শুরুতে আমাদের পরিকল্পনা ছিল পাওয়ার প্লেতে উইকেট না হারানো। পিংকি ভালো খেলেছে। মিডল অর্ডার চেষ্টা করেছে, তবে হয়তো ১০–১৫ রান কম ছিল।”
ওয়ানডে বিশ্বকাপে দ্রুততম (৩৪ বলে) ফিফটি করা স্বর্ণা আক্তারকে নিয়েও প্রশংসা করেন অধিনায়ক, “স্বর্ণা সবসময় চেষ্টা করে এসেছে। আজ যেভাবে ব্যাট করেছে, সবাই উপভোগ করেছে। এভাবেই ব্যাট করতে হয়, সে তা দেখিয়ে দিয়েছে।”
বিশ্বকাপে এখনও তিন ম্যাচ বাকি থাকায় সেমিফাইনালের আশা বেঁচে আছে বলে মনে করেন জ্যোতি। তিনি বলেন, “ইংল্যান্ড ম্যাচে যেমন শুরুটা ভালো ছিল, তেমনি আজও আমরা ঘুরে দাঁড়িয়েছি। জানি, দলটি তরুণ, কিন্তু তারা দ্রুত পরিণত হচ্ছে। নিউজিল্যান্ড ম্যাচের পর যেভাবে দল ঘুরে দাঁড়িয়েছে, তা দুর্দান্ত।”
সিএ/এমআর