জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) উত্তরাঞ্চলের মুখ্য সংগঠক সারজিস আলম বলেছেন, এনসিপি আগামী নির্বাচনে শাপলা প্রতীক নিয়েই অংশ নেবে।
রোববার (৫ অক্টোবর) রাত সাড়ে ৯টার দিকে দেবীগঞ্জ পৌরসভার টোল প্লাজা সংলগ্ন উপজেলা এনসিপির কার্যালয়ে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, “আমরা যেহেতু আইনগতভাবে শাপলা প্রতীকের অধিকারী, তাই আমরা অবশ্যই শাপলাই চাই। এমনকি তাদের সুবিধার কথা বিবেচনা করে লাল শাপলা কিংবা সাদা শাপলার কথাও বলেছি। কিন্তু এর বাইরে এনসিপি অন্য কোনো প্রতীক নিয়ে ভাবছে না।”
তিনি অভিযোগ করেন, নির্বাচন কমিশন স্বেচ্ছাচারিতা করছে। তাঁর দাবি, “যেহেতু আইনগতভাবে শাপলা প্রতীক পেতে এনসিপির কোনো সমস্যা নেই, তাই এখানে নির্বাচন কমিশন স্পষ্টভাবে স্বেচ্ছাচারিতা করছে। এটি নিশ্চয়ই কোনো প্রভাবকের প্রভাবে ঘটছে—কোনো রাজনৈতিক দল, সংস্থা কিংবা প্রতিষ্ঠানের দ্বারা প্রভাবিত হয়ে।”
পিআর (প্রোপোরশনাল রিপ্রেজেন্টেশন) পদ্ধতি প্রসঙ্গে সারজিস আলম বলেন, এনসিপি চায় এই পদ্ধতি প্রথমে উচ্চকক্ষে প্রয়োগ করা হোক। “আমরা মনে করি, নিম্নকক্ষে পিআর পদ্ধতি চালুর মতো পরিবেশ, মানসিকতা ও স্থিতিশীলতা বাংলাদেশে এখনো পুরোপুরি তৈরি হয়নি। তাই প্রথমে উচ্চকক্ষে বাস্তবায়ন হোক, ইতিবাচক ফল পেলে পরে নিম্নকক্ষেও বিবেচনা করা যেতে পারে।”
এর আগে রাত ৮টায় দেবীগঞ্জ উপজেলা এনসিপির প্রধান সমন্বয়কারী মো. মাসুদ পারভেজের সভাপতিত্বে দলীয় নেতাকর্মী এবং বিভিন্ন ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানের পরিচালনা কমিটির সদস্যদের নিয়ে এক মতবিনিময় সভা হয়। এ সময় উপস্থিত ছিলেন উপজেলা এনসিপির যুগ্ম সমন্বয়কারী মো. ফজলুল করিম, যুব শক্তির কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য ওয়াসিস আলম, পঞ্চগড় জেলা যুব শক্তির সাধারণ সম্পাদক জিএম আলামিন খন্দকারসহ অন্যরা।
সিএ/এমআর