ওরাকলের সহ-প্রতিষ্ঠাতা ল্যারি এলিসন সম্প্রতি একদিনের জন্য হলেও বিশ্বের শীর্ষ ধনী ব্যক্তির খেতাব অর্জন করেন, ইলন মাস্ককে পেছনে ফেলে। ব্লুমবার্গ বিলিয়নেয়ার্স ইনডেক্সের তথ্য অনুযায়ী, একদিনেই তার সম্পদ ১০১ বিলিয়ন ডলার বেড়ে দাঁড়ায় ৩৯৩ বিলিয়ন ডলারে—যা মাস্কের ৩৮৫ বিলিয়ন ডলারকে ছাড়িয়ে যায়। যদিও দিনের শেষে মাস্ক আবারও শীর্ষে ফিরে আসেন।
৮১ বছর বয়সী এলিসন প্রযুক্তি দুনিয়ার অন্যতম প্রভাবশালী ব্যক্তিত্ব হলেও মাস্কের মতো পরিচিত নাম নন। তিনি ১৯৭০-এর দশকে সিআইএ-এর জন্য একটি ডেটাবেস তৈরির চুক্তি পাওয়ার পর ওরাকল প্রতিষ্ঠা করেন এবং কয়েক দশকের মধ্যে কোম্পানিটিকে একটি প্রযুক্তি জায়ান্টে পরিণত করেন। তিনি ৩৭ বছর ওরাকলের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন এবং বর্তমানে কোম্পানির প্রধান প্রযুক্তি কর্মকর্তা ও পরিচালনা পর্ষদের চেয়ারম্যান।
বিলাসবহুল জীবনযাপনের জন্যও তিনি সুপরিচিত—মেগা ইয়ট, ব্যক্তিগত জেট, একাধিক বিয়ে এবং হাওয়াইয়ের লানাই দ্বীপের মালিকানা তার সম্পদের ঝলক। ওরাকলের পাশাপাশি তিনি টেসলার শেয়ারধারী এবং ২০১৮ থেকে ২০২২ সাল পর্যন্ত টেসলার পরিচালনা পর্ষদেও ছিলেন।
এছাড়া, এলিসনের রয়েছে রাজনৈতিক ও মিডিয়া অঙ্গনে গভীর প্রভাব। সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের ঘনিষ্ঠ মিত্র তিনি এবং কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তাভিত্তিক ডেটা সেন্টার প্রকল্প ‘স্টারগেট’-এ হোয়াইট হাউসে উপস্থিত ছিলেন। তার ছেলে ডেভিড এলিসন পরিচালিত মিডিয়া গ্রুপ স্কাইড্যান্স সম্প্রতি সিবিএস অধিগ্রহণ করেছে, যার অর্থায়নও ল্যারি এলিসন করেছেন।
ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহুর সঙ্গেও এলিসনের ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক রয়েছে এবং তিনি ইসরায়েলি সামরিক বাহিনীকে বহু অর্থ সহায়তা দিয়েছেন।
যদিও মাত্র একদিনের জন্য হলেও, এলিসনের এই সাফল্য প্রযুক্তি জগতে তার দীর্ঘদিনের আধিপত্য এবং প্রভাবেরই প্রতিফলন। ইলন মাস্কও তাকে নিজের দেখা সবচেয়ে বুদ্ধিমান ব্যক্তিদের একজন হিসেবে আখ্যা দিয়েছেন।