আধুনিক জীবনযাপনে ঘাড়ব্যথা একটি সাধারণ কিন্তু উপেক্ষিত সমস্যা হয়ে দাঁড়িয়েছে। অনিয়মিত ভঙ্গিতে বসা, মোবাইল বা কম্পিউটার ব্যবহারে দীর্ঘক্ষণ ঘাড় নিচু করে থাকা, ভারী জিনিস বহনসহ নানা কারণেই ঘাড়ের পেশি ও মেরুদণ্ডের উপর চাপ সৃষ্টি হয়।
ঘাড়ব্যথা শুধুমাত্র ঘাড়েই সীমাবদ্ধ থাকে না—এটি কাঁধ, বাহু, হাত বা এমনকি মাথায়ও ছড়িয়ে যেতে পারে। ঘাড় ঘোরাতে কষ্ট হওয়া, ব্যথা করে ঘাড় একদিকে বেঁকে যাওয়া, আঙুল অবশ হয়ে যাওয়া, এমনকি মাংসপেশি দুর্বল হয়ে পড়ার মতো উপসর্গ দেখা দিতে পারে।
সবচেয়ে ঝুঁকিতে রয়েছেন যাঁরা পেশাগতভাবে ঘাড় নিচু করে কাজ করেন, অতিরিক্ত মোবাইল-কম্পিউটার ব্যবহার করেন বা নিয়মিত ভ্রমণ করেন।
চিকিৎসার ক্ষেত্রে সুনির্দিষ্ট পরীক্ষা ও বিশেষজ্ঞের পরামর্শ প্রয়োজন। শুধুমাত্র ব্যথানাশক নয়, প্রয়োজনে ফিজিওথেরাপি বা এমনকি ইন্টারভেনশনাল ও সার্জিক্যাল চিকিৎসাও প্রয়োজন হতে পারে।
প্রতিরোধমূলক ব্যবস্থা হিসেবে সঠিক দেহভঙ্গি, সমান বিছানা, পাতলা বালিশ এবং পর্যাপ্ত সূর্যের আলো গ্রহণ ও পুষ্টিকর খাবার গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে।
ঘাড়ব্যথাকে অবহেলা নয়, বরং সময়মতো সঠিক পদক্ষেপই পারে দীর্ঘমেয়াদি জটিলতা রোধ করতে।