কানাডার সঙ্গে চলমান সব বাণিজ্য আলোচনা হঠাৎই বাতিল করেছেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। শুল্কবিরোধী এক বিজ্ঞাপন প্রচার নিয়ে ক্ষুব্ধ হয়ে তিনি এই সিদ্ধান্ত নেন। শুক্রবার (২৪ অক্টোবর) এক প্রতিবেদনে বিষয়টি নিশ্চিত করেছে বার্তাসংস্থা রয়টার্স।
বৃহস্পতিবার নিজের সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্ম ‘ট্রুথ সোশ্যাল’-এ দেওয়া এক পোস্টে ট্রাম্প লিখেছেন, “কানাডার প্রতারণামূলক বিজ্ঞাপন প্রচারের জবাবে” তিনি এই সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। তার ভাষায়, “জঘন্য আচরণের কারণে কানাডার সঙ্গে সব বাণিজ্য আলোচনা এখানেই সমাপ্ত ঘোষণা করা হলো।”
ওই বিজ্ঞাপনে সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট রোনাল্ড রিগ্যানকে শুল্ক আরোপের বিরোধিতা করতে দেখা যায়। ভিডিওটিতে দেখানো হয়, রিগ্যান বিদেশি পণ্যের ওপর অতিরিক্ত শুল্ক আরোপকে কর্মসংস্থান হ্রাস ও বৈশ্বিক বাণিজ্যযুদ্ধের কারণ হিসেবে বর্ণনা করেছেন। ট্রাম্পের মতে, এই বিজ্ঞাপন তার প্রশাসনকে উদ্দেশ্য করে বানানো এবং তা “ভিত্তিহীন রাজনৈতিক প্রচারণা।”
অন্টারিও প্রদেশের প্রিমিয়ার ডগ ফোর্ড সাংবাদিকদের বলেন, “প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প বিজ্ঞাপনটি দেখেছেন এবং এতে তিনি একেবারেই সন্তুষ্ট নন।”
বাণিজ্যনীতিতে কঠোর অবস্থানের জন্য পরিচিত ট্রাম্প দীর্ঘদিন ধরে যুক্তরাষ্ট্রের শুল্কনীতি ব্যবহার করছেন চাপ প্রয়োগের হাতিয়ার হিসেবে। তার শাসনামলে দেশটির শুল্কহার ১৯৩০-এর দশকের পর সর্বোচ্চ পর্যায়ে পৌঁছেছে। ট্রাম্প নিয়মিতভাবেই নতুন শুল্ক আরোপের হুমকি দিয়ে থাকেন, যা ব্যবসায়ী মহল ও অর্থনীতিবিদদের মধ্যে উদ্বেগ সৃষ্টি করেছে।
এদিকে কানাডার প্রধানমন্ত্রী মার্ক কার্নি এক সংবাদ সম্মেলনে বলেন, যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে আলোচনা ব্যর্থ হলেও কানাডা কোনোভাবেই নিজের বাজারে “মার্কিন পণ্যের অন্যায্য প্রবেশাধিকার” দিতে রাজি নয়।
চলতি বছরের শুরুতে ট্রাম্প প্রশাসন কানাডার ইস্পাত, অ্যালুমিনিয়াম ও গাড়িখাতে অতিরিক্ত শুল্ক আরোপ করে। এর পাল্টা প্রতিক্রিয়ায় কানাডাও সমপরিমাণ শুল্ক বসায়। এরপর থেকেই দুই দেশের মধ্যে নতুন বাণিজ্যচুক্তি নিয়ে আলোচনা চলছিল, যা ট্রাম্পের এই সিদ্ধান্তে অনিশ্চয়তার মুখে পড়ল।
সিএ/এমআর


