পাকিস্তান-আফগানিস্তানের সব সীমান্ত ক্রসিং এবং দুই দেশের মধ্যে বাণিজ্য অনির্দিষ্টকালের জন্য স্থগিত ঘোষণা করেছে পাকিস্তান। শুক্রবার এক ব্রিফিংয়ে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র তাহির হুসাইন আন্দারবি জানান, নিরাপত্তা পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ শেষ না হওয়া পর্যন্ত সীমান্ত ক্রসিং এবং বাণিজ্য বন্ধ থাকবে। তিনি বলেন, “পাকিস্তানিদের জীবন বাণিজ্যের চেয়ে অনেক বেশি গুরুত্বপূর্ণ।”
পাকিস্তান দীর্ঘদিন ধরে অভিযোগ করেছে, আফগানিস্তানের ক্ষমতাসীন তালেবান সরকার তাদের দেশে নিষিদ্ধ তেহরিক-ই তালেবান পাকিস্তান (টিটিপি)-কে সমর্থন দিচ্ছে। আফগানিস্তান এই অভিযোগ অস্বীকার করেছে।
গত ৯ অক্টোবর কাবুলে আফগান বিমান হামলায় নিহত হন টিটিপির শীর্ষ নেতা নূর ওয়ালি মেহসুদ, দ্বিতীয় শীর্ষ নেতা ক্বারি সাইফুল্লাহ মেহসুদসহ গোষ্ঠীর জ্যেষ্ঠ নেতারা। ১১ অক্টোবর পাকিস্তান-আফগান সীমান্তে পাকিস্তানি সেনাচৌকিগুলোকে লক্ষ্য করে আফগান বাহিনী হামলা চালায়। টানা চার দিন চলা সংঘাতে আফগান বাহিনীর ২০০-এর বেশি এবং পাকিস্তানের ২৩ জন সেনা নিহত হন। পরে যুদ্ধবিরতি ঘোষণা ও কাতারে সংলাপের মাধ্যমে পরিস্থিতি কিছুটা শান্ত হয়।
পাকিস্তানের খাইবার পাখতুনখোয়া ও বেলুচিস্তান প্রদেশে কয়েকটি সীমান্ত ক্রসিং আছে, যার মধ্যে তোরখাম বাণিজ্যিকভাবে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ। সাধারণ সময়ে প্রতিদিন এ ক্রসিংয়ে তাজা ফল, শাক-সবজি, খনিজ পদার্থ, ওষুধ, গম, চাল, চিনি, মাংস ও দুগ্ধজাত পণ্যবাহী শত শত ট্রাক দুই দেশে প্রবেশ করে। এই বাণিজ্য বছরে প্রায় ২৩০ কোটি ডলারের সমপরিমাণ।
বর্তমানে তোরখাম সীমান্তে ৫ হাজারের বেশি ট্রাক অপেক্ষা করছে ক্রসিং খোলার জন্য। সীমান্ত বাণিজ্য বন্ধ থাকায় পাকিস্তান ও আফগানিস্তানে ভোগ্যপণ্যের দাম দ্রুত বৃদ্ধি পেয়েছে। জিও নিউজের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, পাকিস্তানে টমেটোর দাম গত কয়েক দিনে প্রায় পাঁচগুণ বেড়েছে।
সিএ/এমআর


