গাজায় ইসরায়েল মানবিক সাহায্য পৌঁছানোর ওপর কঠোর বিধিনিষেধ আরোপ করেছে। ইসরায়েলি বোমাবর্ষণের ফলে গাজার অবকাঠামো ধ্বংসস্তূপে পরিণত হওয়ায় মানুষরা খাদ্য ও প্রয়োজনীয় সামগ্রীর তীব্র সংকটে রয়েছে।
জাতিসংঘ জানায়, বর্তমানে গাজাবাসীর কাছে সরবরাহকৃত সাহায্য চাহিদার তুলনায় অত্যন্ত সীমিত। জাতিসংঘের মুখপাত্র ফারহান হক বলেন, ১০ অক্টোবরের পর থেকে তারা ৩৭ হাজার মেট্রিক টন সহায়তা সরবরাহ করেছে, যার বড় অংশই খাদ্যপণ্য। কিন্তু ইসরায়েলের বিধিনিষেধের কারণে মানুষের বড় অংশের চাহিদা পূরণ সম্ভব হচ্ছে না।
এছাড়া আল-কারারা ও কারেম আবু সালেম ক্রসিং থেকে সীমিত মাত্রায় মানবিক সাহায্য প্রবেশ করা সম্ভব হলেও, উত্তর গাজা বা মিশরের মাধ্যমে দক্ষিণ গাজায় সরাসরি কোনো প্রবেশপথ খোলা নেই। বেসরকারি সংস্থাগুলোও কার্যকর প্রবেশাধিকার পাচ্ছে না।
জাতিসংঘের তথ্যমতে, যুদ্ধবিরতির পর তারা প্রায় ১০ লাখ মানুষের জন্য খাদ্য বিতরণ করেছে। তবে এ পরিমাণ খাদ্য গাজার সব মানুষের চাহিদা মেটাতে যথেষ্ট নয়। বিশ্ব খাদ্য কর্মসূচি সব সীমান্ত ক্রসিং খুলে দেওয়ার ওপর জোর দিয়ে বলেছে, বিশেষ করে উত্তর গাজার ক্রসিং ইসরায়েল কেন বন্ধ রেখেছে তা অজানা।
ইসরায়েলের এই পদক্ষেপের কারণে গাজার মানুষরা এখনো খাবার, পানি, ওষুধ ও অন্যান্য জরুরি পণ্যের তীব্র ঘাটতিতে ভুগছে। অনেকের বসতবাড়ি ধ্বংস হয়ে গেছে এবং বেশিরভাগ মানুষের থাকার নিরাপদ ঠিকানা নেই।
সিএ/এমআরএফ


