মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প সম্প্রতি ইঙ্গিত দিয়েছিলেন, দীর্ঘদিনের বৈরিতা কাটিয়ে ইসরায়েল ও ইরান আঞ্চলিক শান্তির পথে একসঙ্গে এগোতে পারে। তবে ইরান এই প্রস্তাব সম্পূর্ণরূপে প্রত্যাখ্যান করেছে।
ইরানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী আব্বাস আরাঘচি জানিয়েছেন, কোনো অবস্থাতেই ইরান ইসরায়েলের সঙ্গে সম্পর্ক স্বাভাবিক করবে না। তিনি বলেন, “ইসরায়েলিরা দখলদার, তারা শিশু হত্যা ও গণহত্যার মতো জঘন্য অপরাধে জড়িত। তাদের স্বীকৃতি দেওয়ার প্রশ্নই আসে না।”
ট্রাম্প ফক্স নিউজকে বলেছেন, মধ্যপ্রাচ্যে নতুন ইতিহাস তৈরি হতে যাচ্ছে, যেখানে একসময় যুদ্ধে লিপ্ত দেশগুলো সংলাপে বসছে। তিনি আশা প্রকাশ করেছেন, ইরানও এই বৃহত্তর শান্তি কাঠামোর অংশ হবে। তবে ইরানের প্রতিক্রিয়া একেবারেই নেতিবাচক। আরাঘচি জানান, ইসরায়েল কখনো শান্তির অংশ হতে পারে না, গাজায় তারা বারবার যুদ্ধবিরতির প্রতিশ্রুতি ভেঙেছে এবং অতীতের অভিজ্ঞতায় ইসরায়েলের ওপর আস্থা রাখা যায় না।
এর পাশাপাশি যুক্তরাষ্ট্র ও ইউরোপের দেশগুলো ইরানের সঙ্গে নতুন পারমাণবিক আলোচনা শুরুর ইচ্ছা প্রকাশ করেছে। কিন্তু ইরান সরাসরি এ প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করেছে। আরাঘচি বলেছেন, “আমরা শান্তিপূর্ণ উদ্দেশ্যে ইউরেনিয়াম সমৃদ্ধ করছি, এটি আমাদের জনগণের অধিকার। যুক্তরাষ্ট্র আমাদের অধিকারকে সম্মান করলেই নতুন আলোচনা সম্ভব।”
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ইতিমধ্যেই কঠোর অবস্থান নিয়েছে। দেশটির জ্বালানি রফতানি বন্ধে বড় ধরনের নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হয়েছে। ৫০টিরও বেশি ব্যক্তি, প্রতিষ্ঠান ও জাহাজকে নিষেধাজ্ঞার আওতায় আনা হয়েছে, যাতে তেহরানের ক্ষতিকর কর্মকাণ্ডে ব্যবহৃত অর্থের উৎস বন্ধ করা যায়।
সিএ/এমআর


