ইসরায়েল ও গাজা শাসনকারী হামাসের মধ্যে যুদ্ধবিরতি চুক্তি ঘোষণার খবরে গাজায় আনন্দের ঢেউ উঠেছে। বহু মানুষ কাঁদছেন, গান-নাচ করছেন, এবং রাস্তা-মাঠে ধর্জা তুলছেন—অনেকেই বলছেন, “আল্লাহু আকবার।”
গাজা সিটির ঘাদা নামের এক নারী রয়টার্সকে বলেন, “এটা আনন্দের অশ্রু—মনে হচ্ছিল নতুন করে জন্ম নিলাম। আশা করি, এখন যুদ্ধ শেষ হবে।” ঘাদা ও তার পরিবার ১৫ মাস ধরে তাবুতে বসবাস করছেন—তার বাড়ি ইসরায়েলি আঘাতে ধ্বংস হয়ে গিয়েছিল।
চুক্তি অনুযায়ী প্রথম ধাপে ছয় সপ্তাহ স্থায়ী একটি বিরতি হবে। এই সময় হামাস তাদের হাতে থাকা সব জিম্মিকে মুক্তি দেবে; বদলে ইসরায়েল গাজায় সামরিক অভিযান বন্ধ করবে, গাজা থেকে ধাপে ধাপে সেনা প্রত্যাহার করবে এবং ইসরায়েলের কারাগারে থাকা ফিলিস্তিনি বন্দিদের মুক্তি দেবে। রাফাহ সীমান্ত উভয়পাশে খুলে ত্রাণ প্রবাহ বাড়ানো ও আহতদের মিশরে স্থানান্তরসহ মানবিক সহায়তা বৃদ্ধিরও কথা বলা হয়েছে।
চুক্তি ঘোষণার আগে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট হোয়াইট হাউসে একটি নতুন পরিকল্পনা ঘোষণা করেছিলেন; এরপর মিসর ও কাতার মধ্যস্থতার মাধ্যমে আলোচনার পর ইসরায়েল ও হামাস সমঝোতায় পৌঁছায়।
বহু গাজাবাসী এই সিদ্ধান্তকে অন্তত অস্থায়ী স্বস্তি হিসেবে দেখছেন। খান ইউনিসের এক তরুণী বলেছেন, “আজ আমরা হাসব—কিন্তু আমরা যারা হারিয়েছি, তাদের স্মরণ করে কাঁদবও।” অপর দিকে, যারা বাড়ি-পরিবার হারিয়েছেন তারা ফিরে গিয়ে ধ্বংসস্তূপের মধ্যে নিজেদের জীবন আবার গাঠতে হবে বলে আশঙ্কা ব্যক্ত করছেন।
রয়টার্স সূত্রে বলা হয়েছে, চুক্তি বাস্তবায়ন ও স্থায়িত্ব নিয়ে অশান্তি ও অনিশ্চয়তা রয়ে গেছে; মানবিক পরিস্থিতি দ্রুত স্বাভাবিক হবে কি না তা সময়ই বলবে।
সিএ/এমআর