যুদ্ধবিধ্বস্ত গাজার জন্য খাদ্য, ওষুধ ও নিত্যপ্রয়োজনীয় ত্রাণসামগ্রী নিয়ে নতুন নৌবহর নিয়ে এগিয়ে যাচ্ছে ফ্রিডম ফ্লোটিলা কোয়ালিশন (এফএফসি)। ভূমধ্যসাগরে বর্তমানে গাজার উপকূল থেকে প্রায় ৩০০ কিলোমিটার দূরে অবস্থান করছে বহরটি।
মঙ্গলবার (৭ অক্টোবর) টেলিগ্রামে দেওয়া এক বিবৃতিতে এ তথ্য জানায় এফএফসি। সেখানে বলা হয়, “আমাদের ফ্লোটিলার নৌবহর গাজার উপকূল থেকে ১৫০ নটিক্যাল মাইল দূরে আছে। কিছু দিন আগে গ্লোবাল সুমুদ ফ্লোটিলা মিশনের নৌযানগুলোকে যে এলাকায় ইসরায়েলি নৌবাহিনী আটক করেছিল, নতুন বহরটি তার কাছাকাছি পৌঁছেছে।”
এফএফসির অংশীদার সংগঠন ‘ইন্টারন্যাশনাল কমিটি ফর ব্রেকিং দ্য সিজ অন গাজা’ এক্সে লিখেছে, “আমরা গাজার পথে অগ্রসর হচ্ছি।”
এই নতুন বহরে রয়েছে ৯টি নৌযান এবং ১০০ জনেরও বেশি ক্রু ও স্বেচ্ছাসেবী। বহরে খাদ্য, ওষুধসহ জরুরি সহায়তার সামগ্রী বহন করা হচ্ছে।
গত আগস্টে গ্লোবাল সুমুদ ফ্লোটিলা নামে ৪৩টি নৌযান নিয়ে একটি মিশন শুরু করেছিল এফএফসি। সুইডিশ জলবায়ু আন্দোলনকর্মী গ্রেটা থুনবার্গ, দক্ষিণ আফ্রিকার সাবেক প্রেসিডেন্ট নেলসন ম্যান্ডেলার নাতি মান্ডলা ম্যান্ডেলাসহ ৪৪ দেশের ৫০০ নাগরিক এতে অংশ নেন। তবে গাজার কাছাকাছি পৌঁছানোর পর ইসরায়েলি নৌবাহিনী পুরো বহর আটক করে এবং ক্রু ও যাত্রীদের আটক বা ফেরত পাঠায়।
এ ঘটনায় আন্তর্জাতিক অঙ্গনে ইসরায়েলের বিরুদ্ধে ব্যাপক সমালোচনা হয়। এবারও বহরটির নিরাপদ গন্তব্যে পৌঁছানো নিয়ে প্রশ্ন রয়ে গেছে।
প্রসঙ্গত, গত ১৮ বছর ধরে গাজার সমুদ্রপথ অবরুদ্ধ করে রেখেছে ইসরায়েল। কোনো আন্তর্জাতিক নৌযান গাজার উপকূলে পৌঁছাতে পারে না। নতুন বহরটি যদি গাজা উপকূলে নোঙর করতে পারে, তবে তা হবে অবরোধ শুরুর পর প্রথম আন্তর্জাতিক বহরের সাফল্য।
সূত্র: আনাদোলু এজেন্সি
সিএ/এমআর