কারাগারে না থেকে গৃহবন্দী অবস্থায় বাকি সাজা ভোগ করার আবেদন করেছিলেন মালয়েশিয়ার সাবেক প্রধানমন্ত্রী নাজিব রাজাক। তবে দেশটির আদালত তাঁর সেই আবেদন খারিজ করে দিয়েছেন। ফলে দুর্নীতির মামলায় দণ্ডপ্রাপ্ত নাজিব রাজাককে আগের মতোই কারাগারেই থাকতে হচ্ছে।
সোমবার (২২ ডিসেম্বর) কুয়ালালামপুর হাইকোর্টে দেওয়া রায়ে বিচারক অ্যালিস লোক ই চিং জানান, মালয়েশিয়ার আইনে গৃহবন্দী রাখার কোনো বিধান না থাকায় আদালত এ ধরনের নির্দেশ দিতে পারে না। তাই নাজিব রাজাকের বিচারিক পর্যালোচনার আবেদন খারিজ করা হলো।
নাজিব রাজাকের আইনজীবীরা আদালতে যুক্তি দেন, মালয়েশিয়ার সাবেক রাজার একটি বিশেষ অনুমোদনের মাধ্যমে নাজিবের সাজা কারাগারের পরিবর্তে গৃহবন্দী থেকে ভোগ করার সুযোগ রয়েছে। ওই অনুমোদনকে ‘রয়্যাল অ্যাডেনডাম’ হিসেবে উল্লেখ করা হয়। তবে বিচারক এ যুক্তির সঙ্গে একমত হননি। তিনি বলেন, তথাকথিত রয়্যাল অ্যাডেনডাম কোনো বৈধ আইনি আদেশ নয়।
আদালত সূত্রে জানা গেছে, বহুল আলোচিত ‘১ এমডিবি আর্থিক কেলেঙ্কারি’ সংক্রান্ত দুর্নীতির মামলায় ২০২২ সালে নাজিব রাজাককে ১২ বছরের কারাদণ্ড দেওয়া হয়। পরবর্তীতে দেশটির শাস্তি মওকুফ বোর্ড তাঁর সাজা অর্ধেক কমিয়ে ছয় বছর করে। বর্তমানে ৭২ বছর বয়সী নাজিব ২০২২ সালের আগস্ট থেকে কারাগারে বন্দী রয়েছেন।
রায় ঘোষণার সময় ধূসর রঙের স্যুট ও সাদা শার্ট পরা নাজিব রাজাককে হতাশা প্রকাশ করতে দেখা যায়। শুনানি শেষে তাঁর আইনজীবী মুহাম্মদ শাফি আবদুল্লাহ সাংবাদিকদের জানান, আদালতের এই রায়ে নাজিব অত্যন্ত হতাশ এবং তিনি এ সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে আপিল করবেন।
উল্লেখ্য, ‘১ এমডিবি’ কেলেঙ্কারি শুধু মালয়েশিয়াতেই নয়, বিশ্বের বিভিন্ন দেশে আলোচিত একটি দুর্নীতির মামলা। এই কেলেঙ্কারি সংশ্লিষ্ট নাজিব রাজাকের বিরুদ্ধে আরও একটি মামলার রায় চলতি সপ্তাহেই ঘোষণা হওয়ার কথা রয়েছে।
সিএ/জেএইচ


