মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প তাইওয়ানের চারপাশে বেইজিংয়ের সামরিক মহড়া নিয়ে কোনো উদ্বেগ প্রকাশ করেননি। তাইওয়ানকে কেন্দ্র করে সম্প্রতি বড় পরিসরে সামরিক মহড়া চালিয়েছে চীন।
সোমবার (২৯ ডিসেম্বর) এসব মহড়ার পর তাইওয়ান সম্ভাব্য হামলা প্রতিহত করতে দ্রুত সেনাসদস্য ও সামরিক সরঞ্জাম মোতায়েন করেছে। দ্বীপটির গুরুত্বপূর্ণ এলাকা দখল ও অবরোধের অনুকরণে পরিচালিত এই মহড়াকে বেইজিং ‘বিচ্ছিন্নতাবাদী শক্তি’র বিরুদ্ধে সতর্কবার্তা হিসেবে উল্লেখ করেছে।
সোমবার এক সংবাদ সম্মেলনে সাংবাদিকদের ট্রাম্প বলেন, প্রেসিডেন্ট শি-এর সঙ্গে তার খুব ভালো সম্পর্ক আছে এবং মহড়ার বিষয়ে তাকে কিছু বলা হয়নি। তিনি বলেন, ‘না, কোনো কিছুই আমাকে উদ্বিগ্ন করছে না। তারা ওই এলাকায় গত ২০ বছর ধরে নৌ মহড়া চালিয়ে আসছে।’
এই দুই দিনের যুদ্ধ মহড়া শুরু হয়েছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের তাইওয়ানের কাছে তাদের সর্ববৃহৎ অস্ত্র বিক্রির ঘোষণা দেওয়ার প্রায় দুই সপ্তাহ পর। এই বিক্রয় চীনের ক্ষোভের কারণ হয়ে দাঁড়ায়, কারণ তারা স্ব-শাসিত দ্বীপটিকে একটি বিচ্ছিন্ন প্রদেশ হিসেবে দেখে।
চীনা সামরিক বাহিনী জানিয়েছে, দ্বীপের গুরুত্বপূর্ণ অঞ্চলগুলো দখল এবং অবরোধের অনুকরণে পরিচালিত মহড়াগুলো স্বাধীনতা বিচ্ছিন্নতাবাদী শক্তি এবং বহিরাগত হস্তক্ষেপের বিরুদ্ধে সতর্কতা হিসেবে বিবেচিত হবে। মঙ্গলবার চীনের সামরিক মহড়ায় দ্বীপের চারপাশের পাঁচটি স্থানে সমুদ্র ও আকাশসীমায় টানা ১০ ঘণ্টার সরাসরি গোলাবর্ষণ (লাইভ-ফায়ার) মহড়া চালানো হবে।
তাইওয়ান প্রণালির দায়িত্বে থাকা চীনের ইস্টার্ন থিয়েটার কমান্ড জানিয়েছে, সেনাবাহিনী তাদের ‘সমুদ্র-আকাশ সমন্বয়’ এবং ‘সমন্বিত নিয়ন্ত্রণ সক্ষমতা’ পরীক্ষা করতে ডেস্ট্রয়ার, ফ্রিগেট এবং ফাইটার-বোমারু বিমান মোতায়েন করেছে।
তাইওয়ানের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, মঙ্গলবার সকালে তারা দ্বীপের চারপাশে ১৩০টি চীনা সামরিক বিমান শনাক্ত করেছে, যার মধ্যে ৯০টি ‘মধ্যম রেখা’ অতিক্রম করেছে। এছাড়া দ্বীপের কাছে এক ডজনেরও বেশি চীনা নৌবাহিনীর জাহাজও দেখা গেছে। তাইওয়ান সেনাবাহিনী পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করেছে এবং বিমান, জাহাজ ও উপকূলীয় ক্ষেপণাস্ত্র ব্যবস্থা মোতায়েন করেছে।
তাইওয়ানের রাষ্ট্রপতির কার্যালয় মহড়ার সমালোচনা করে এগুলোকে আন্তর্জাতিক নিয়মের প্রতি চ্যালেঞ্জ হিসেবে উল্লেখ করেছে।
সূত্র: স্থানীয় ও আন্তর্জাতিক সংবাদসংস্থা
সিএ/এএ


