থাইল্যান্ড সীমান্তের কাছে ইন্টারনেট স্ক্যাম কেন্দ্রগুলোর বিরুদ্ধে বড় ধরনের অভিযান চালিয়েছে মিয়ানমার সেনাবাহিনী। রবিবার (৯ নভেম্বর) জান্তা বাহিনীর পরিচালিত অভিযানে প্রায় ১৫০টি ভবন ধ্বংস করা হয়েছে, যার মধ্যে একটি জিম, স্পা ও ক্যারিওকি পার্লারও ছিল।
সেনাবাহিনী জানায়, সীমান্তবর্তী নিয়ন্ত্রণহীন অঞ্চলে গড়ে ওঠা এই স্ক্যাম কম্পাউন্ডগুলো দীর্ঘদিন ধরে মানব পাচার ও অনলাইন প্রতারণার কেন্দ্র হিসেবে ব্যবহৃত হচ্ছিল। এসব ভবনে নিরীহ মানুষদের প্রেমের প্রলোভন বা বিনিয়োগের ফাঁদে ফেলে কোটি কোটি টাকা হাতিয়ে নেওয়া হতো। অনেক জায়গায় অপরাধী চক্রের নেতারা বিলাসবহুল জীবনযাপন করতেন।
গত মাসেও সেনারা কুখ্যাত ‘কেকে পার্ক’ এলাকায় অভিযান চালিয়ে ২,০০০-এর বেশি প্রতারককে আটক করে এবং অন্তত ১,৫০০ জনকে থাইল্যান্ডে পালাতে বাধ্য করে। সর্বশেষ অভিযানে ডরমিটরি, চারতলা হাসপাতাল এবং দুইতলা ক্যারিওকি কমপ্লেক্সসহ ১০১টি ভবন ধ্বংস করা হয়েছে, আরও ৪৭টি ধ্বংসের অপেক্ষায় রয়েছে।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, আন্তর্জাতিক চাপ মোকাবিলায় সেনারা এই অভিযানের মাধ্যমে নিজেদের সক্রিয়তা প্রদর্শন করছে। তবে তাদের নিয়ন্ত্রিত মিলিশিয়াদের আর্থিক জোগান যেন ব্যাহত না হয়, সেদিকেও সতর্ক তারা। মিয়ানমারের ঘনিষ্ঠ মিত্র চীন ইতিমধ্যেই চীনা নাগরিকদের ক্ষতির কারণে জান্তার প্রতি ক্ষোভ প্রকাশ করেছে।
অন্যদিকে থাইল্যান্ড সীমান্তবর্তী এলাকায় ইন্টারনেট ব্যবহারে সীমাবদ্ধতা আরোপ করেছে, যাতে এসব কর্মকাণ্ড বন্ধ করা যায়। একইসঙ্গে স্পেসএক্সের স্যাটেলাইট ইন্টারনেট সেবা ‘স্টারলিংক’ সম্প্রতি সন্দেহভাজন স্ক্যাম জোনের আশপাশে ২,৫০০টির বেশি টার্মিনালের সংযোগ বিচ্ছিন্ন করেছে, কারণ অভিযান চললেও প্রতারণা পুরোপুরি বন্ধ করা যায়নি।
সিএ/এমআরএফ


