দক্ষিণ কোরিয়াকে ৫-০ গোলে উড়িয়ে দেওয়ার পর আত্মবিশ্বাসে উজ্জীবিত ছিল ব্রাজিল। কিন্তু জাপানের বিপক্ষে টোকিওর আজিনোমোতো স্টেডিয়ামে মঙ্গলবার প্রীতি ম্যাচে সেই আত্মবিশ্বাস যেন গিলে খেল স্বাগতিকরা। দুই গোলে পিছিয়ে থেকেও দুর্দান্ত প্রত্যাবর্তন ঘটিয়ে ৩-২ ব্যবধানে ঐতিহাসিক জয় তুলে নেয় জাপান। এটি ব্রাজিলের বিপক্ষে তাদের প্রথম জয়।
ম্যাচের শুরুতে ব্রাজিল পুরো নিয়ন্ত্রণে ছিল। ২৬তম মিনিটে পাওলো হেনরিকে জাতীয় দলের হয়ে নিজের প্রথম গোল করে দলকে এগিয়ে নেন। ছয় মিনিট পর ব্যবধান দ্বিগুণ করেন আর্সেনালের ফরোয়ার্ড গ্যাব্রিয়েল মার্তিনেল্লি। লুকাস প্যাকেতার নিখুঁত পাস থেকে গোল করেন তিনি। প্রথমার্ধের শেষ পর্যন্ত আক্রমণ-প্রতি আক্রমণে আধিপত্য বজায় রাখে সেলেসাওরা।
তবে বিরতির পর পুরো চিত্রটাই বদলে যায়। জাপানের হাই প্রেসিং ও গতি সামলাতে হিমশিম খায় ব্রাজিল। ম্যাচের ৫২তম মিনিটে ফাব্রিসিও ব্রুনোর ভুলে বল কেড়ে নিয়ে তাকুমি মিনামিনো ব্যবধান কমান। সেই গোলই যেন জাপানকে উজ্জীবিত করে তোলে। এরপর ৬৭তম মিনিটে কেইতো নাকামুরা সমতাসূচক গোল করে স্টেডিয়াম মাতান।
অবশেষে ৭১তম মিনিটে আয়াশি উয়েদার গোলেই ইতিহাস গড়ে জাপান। শেষ পর্যন্ত ব্রাজিল আর ঘুরে দাঁড়াতে পারেনি। একের পর এক পরিবর্তন আনলেও কার্লো আনচেলত্তির কৌশল ব্যর্থ হয় জাপানের গোছানো ও গতিময় ফুটবলের সামনে।
লাতিন আমেরিকা অঞ্চলের বিশ্বকাপ বাছাইপর্ব শেষ হওয়ার পর প্রস্তুতি হিসেবে এই প্রীতি ম্যাচগুলো খেলছে দলগুলো। তবে ব্রাজিলের জন্য এই হার বড় এক ধাক্কা। অন্যদিকে জাপানের জন্য এটি শুধু একটি জয় নয়, বরং ফুটবল ইতিহাসে এক অনন্য অধ্যায়।
সিএ/এমআর