গ্রুপপর্বে টানা তিন ম্যাচে হার—এরপরও দমে যায়নি ভারতের নারী ক্রিকেট দল। সেমিফাইনালে ওঠা নিয়েই যখন শঙ্কা, তখনই তারা দেখিয়েছে দুর্দান্ত প্রত্যাবর্তন। শেষ পর্যন্ত ঘরের মাঠে প্রথমবারের মতো বিশ্বকাপ শিরোপা জিতে ইতিহাস গড়ল হরমনপ্রীত কৌরের নেতৃত্বাধীন ভারত। অধিনায়ক হিসেবে এটাই তার প্রথম বিশ্বকাপ জয়।
দু’দুবার ফাইনালে গিয়ে ব্যর্থ হওয়ার পর অবশেষে কাঙ্ক্ষিত শিরোপা স্পর্শ করলেন হরমনপ্রীতরা। ফাইনালে দক্ষিণ আফ্রিকাকে হারিয়ে ভারত পেল গৌরবের জয়। খেলা শেষে অধিনায়ক বলেন, “এই জয় আমাদের দরকার ছিল, এটা কেবল শুরু। এখন থেকে জেতাটাই অভ্যাসে পরিণত করতে চাই।”
পরপর তিন ম্যাচ হারলেও দলের ওপর বিশ্বাস ছিল জানিয়ে হরমনপ্রীত বলেন, “আমরা আত্মবিশ্বাস হারাইনি। জানতাম, কিছু একটা ভালো হবেই। সবাই এক হয়ে লড়েছি।”
ফাইনালে দক্ষিণ আফ্রিকার ব্যাটিংয়ের সময় অধিনায়ক এক চমক দেখান—শেফালি বর্মাকে হঠাৎ বল তুলে দেন। তার স্পিনেই ফেরে ম্যাচের মোড়। শেফালি পরপর দুটি উইকেট নিয়ে দলকে এগিয়ে দেন। হরমনপ্রীত বলেন, “শেফালির হাতে বল তুলে দেওয়া ছিল একপ্রকার ঝুঁকি, কিন্তু ও ম্যাচটাই ঘুরিয়ে দিয়েছে।”
এই মাঠেই আগের ম্যাচে অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে ৩৩৯ রান তাড়া করে জয় পেয়েছিল ভারত। ফাইনালে ২৯৯ রানের লক্ষ্য নিয়েও আত্মবিশ্বাসী ছিল দল। অধিনায়ক জানান, “পিচে বোলারদের কিছু সুবিধা ছিল, জানতাম ভালো ফিল্ডিং করলে ম্যাচ জেতা সম্ভব।”
ফাইনালে দীপ্তি শর্মা ও শেফালি বর্মার অলরাউন্ড পারফরম্যান্সের প্রশংসা করেছেন হরমনপ্রীত। পাশাপাশি দলের কোচ অমল মজুমদারের পরিশ্রম ও ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ডের সহায়তার কথাও তুলে ধরেন তিনি।
সিএ/এমআরএফ


