লিওনেল মেসির পায়ে যেই মাঠে ইতিহাস রচিত হয়েছে, সেই মাঠের ঘাসই এবার স্মারক হিসেবে বিক্রি করছে যুক্তরাষ্ট্রের মেজর লিগ সকার (এমএলএস) ক্লাব ইন্টার মায়ামি। ক্লাবটি তাদের ঘরের মাঠ চেজ স্টেডিয়ামের ‘আসল ঘাস’ ভক্তদের জন্য বাজারে এনেছে।
ইন্টার মায়ামির ঘোষণা অনুযায়ী, পাঁচটি ভিন্ন পণ্যে এই ঘাস বিক্রি করা হবে। সর্বনিম্ন মূল্য ৫০ ডলার এবং সর্বোচ্চ ৭৫০ ডলার, যা বাংলাদেশি মুদ্রায় আনুমানিক ৬ হাজার থেকে ৯০ হাজার টাকারও বেশি।
ক্লাব সূত্র জানায়, ২০২৬ সাল থেকে ইন্টার মায়ামি আর চেজ স্টেডিয়ামে খেলবে না। সে বছর বিশেষভাবে নির্মিত নতুন স্টেডিয়াম ‘মায়ামি ফ্রিডম পার্কে’ স্থানান্তরিত হবে দলটি। তাই বিদায়ী স্মৃতি হিসেবে সমর্থকদের জন্য চেজ স্টেডিয়ামের স্মারক সংগ্রহের সুযোগ করে দেওয়া হয়েছে।
ফ্লোরিডার ফোর্ট লডারডেলে অবস্থিত চেজ স্টেডিয়াম ইন্টার মায়ামির ইতিহাসে বিশেষ গুরুত্ব বহন করে। ২০২০ সালে এমএলএস–এ অভিষেকের পর এটিকেই নিজেদের ঘরের মাঠ হিসেবে ব্যবহার করে আসছিল ক্লাবটি। এখানেই যুক্তরাষ্ট্রের ফুটবলে প্রথম পা রাখেন আর্জেন্টাইন মহাতারকা লিওনেল মেসি। চলতি মাসের শুরুতে এই মাঠেই এমএলএস কাপ জিতে ক্লাব ইতিহাসের প্রথম বড় শিরোপা উদ্যাপন করে ইন্টার মায়ামি।
কেন এই ঘাস ভক্তদের কাছে মূল্যবান—সে ব্যাখ্যায় ইন্টার মায়ামি এক বিবৃতিতে জানায়, “এটি সেই মাঠ, যেখানে ইন্টার মায়ামির যাত্রা শুরু হয়েছিল। যেখানে তৈরি হয়েছে অবিস্মরণীয় মুহূর্ত, লিওনেল মেসির আগমন এবং আমাদের প্রথম শিরোপাগুলো।”
ঘাস–সংবলিত পণ্যের মধ্যে প্রাথমিক পর্যায়ে থাকছে ৫০ ডলারের দুটি কী-রিং। একটি সীমিত সংস্করণের খোদাই করা নকশার এবং অন্যটি মেসির ১০ নম্বর জার্সির আদলে তৈরি।
প্রিমিয়াম সংগ্রাহকদের জন্য রয়েছে তিনটি বিশেষ বক্স সংস্করণ। এর মধ্যে ‘গ্রাস মিনি আলট্রা লাক্স বক্স’-এর দাম ২০০ ডলার, যাতে চামড়ার কবজা ও স্বচ্ছ অ্যাক্রিলিক কিউবে রাখা আসল ঘাস থাকবে। ‘গ্র্যান লাক্স’ সংস্করণের মূল্য ৩৫০ ডলার, যেখানে যুক্ত থাকবে সোনায় খোদাই করা ধাতব টিকিট। সবচেয়ে দামি ‘আলট্রা বক্স’-এর মূল্য ৭৫০ ডলার, যার ভেতরে থাকছে পিয়ানো ফিনিশ ও বিশেষ নকশার অভ্যন্তরীণ সাজসজ্জা।
ক্লাব জানিয়েছে, ‘গ্র্যান লাক্স’ ও ‘আলট্রা বক্স’ সংস্করণে লিওনেল মেসি, রদ্রিগো দি পল ও লুইস সুয়ারেজের ব্যাকগ্রাউন্ড ছবি সংযুক্ত থাকবে। প্রি-অর্ডার করা কী-রিং জানুয়ারিতে এবং বক্স সংস্করণের পণ্য মার্চ মাসে সরবরাহ করা হবে।
সূত্র : এএফপি
সিএ/জেএইচ


