খুলনাকে ৭ উইকেটে হারিয়ে জাতীয় ক্রিকেট লিগের (এনসিএল) ট্রফিতে এক হাত রেখেছে রংপুর বিভাগ। শেষ রাউন্ডে অন্য প্রতিদ্বন্দ্বী দলগুলোর ব্যর্থতা এবং নিজেদের দারুণ জয়ের কারণে রংপুরের তৃতীয়বারের মতো শিরোপা জয়ের পথ এখন প্রায় নিশ্চিত।
সিলেটই এখন একমাত্র সম্ভাবনা—তাও ক্ষীণ
পয়েন্ট তালিকার শীর্ষে থেকে শেষ রাউন্ড শুরু করা সিলেট জিততে পারলে চ্যাম্পিয়ন হতো। কিন্তু বরিশালের বিপক্ষে ম্যাচ পরিস্থিতি তাদের বিপক্ষে দাঁড়িয়েছে। তৃতীয় দিন শেষে বরিশাল দ্বিতীয় ইনিংসে ৪ উইকেটে ২১২ রান করে সিলেটের চেয়ে এগিয়ে ২৩৭ রানে।
আগামীকাল বরিশাল কেমন লক্ষ্য দাঁড় করায়, তা সিলেটের জন্য কঠিন পরীক্ষা। ম্যাচ জেতার মতো সময় হাতে থাকবে কি না—সেটিও বড় প্রশ্ন। ড্র করলেও সিলেটের পয়েন্ট হবে ২৮, তখনো রংপুরই চ্যাম্পিয়ন।
রংপুরের নিশ্চিত পথে রাখা জয়
বগুড়ায় খুলনার বিপক্ষে দ্বিতীয় ইনিংসে ৫ উইকেটে ৪১ রান নিয়ে দিন শুরু করে খুলনা। তবে মুকিদুল ইসলামের দুর্দান্ত বোলিংয়ে মাত্র ৯৬ রানে অলআউট হয় তারা। এতে রংপুরের সামনে লক্ষ্য দাঁড়ায় ২৩১ রান।
ইকবাল হোসেনের অনবদ্য সেঞ্চুরি (১৭০ বলে ১১৪*) রংপুরকে সহজ জয় এনে দেয়। ৯ চার ও ৩ ছক্কার ইনিংসে অপরাজিত থেকে তিনি দলকে ৭ উইকেটে জিতিয়ে মাঠ ছাড়েন।
এই জয়ে রংপুরের পয়েন্ট বেড়ে ৩১।
রুয়েল মিয়ার পরপর তৃতীয়বার ৫ উইকেট
বরিশালের হয়ে সিলেটের বিপক্ষে রুয়েল মিয়া পেলেন টানা তৃতীয় ইনিংসে ৫ উইকেট। তার বোলিংয়ে সিলেট প্রথম ইনিংসে ২৮৭ রানে থামে। বরিশালের ওপেনার ইফতেখার হোসেন ৯৩ রান নিয়ে চতুর্থ দিনে খেলতে নামবেন।
ময়মনসিংহের শিরোপা স্বপ্নও মলিন
প্রথমবার এনসিএলে নেমে শিরোপার লড়াইয়ে থাকা ময়মনসিংহ রাজশাহীর বিপক্ষে শেষ দিনে জয়ের জন্য প্রয়োজন আরও ২০১ রান—হাতে আছে মাত্র ১ উইকেট। ময়মনসিংহ ব্যাটার আবু হায়দার সেঞ্চুরির অপেক্ষায় রয়েছেন (৯৭*)।
ঢাকার প্রথম জয়
মিরপুরে চট্টগ্রামকে ইনিংস ব্যবধানে হারিয়েছে ঢাকা বিভাগ।
আনিসুল ইসলাম, মার্শাল আইয়ুব ও আশিকুর রহমানের সেঞ্চুরিতে ঢাকার সংগ্রহ ৫৪১/৬।
চট্টগ্রাম প্রথম ইনিংসে ১৫৮ এবং ফলোঅন শেষে ১৯১ রানে অলআউট হয়ে ইনিংস ও ১৯২ রানে হারে।
৩টি করে উইকেট নেন রিপন মন্ডল, সুমন খান ও সালাউদ্দীন শাকিল।
এ জয়ে ঢাকা বিভাগের এটি প্রথম সাফল্য—আগের ৬ ম্যাচে তারা ছিল ৫ ড্র ও ১ হারে।
রংপুরের সামনে এখন শিরোপা হাতের মুঠোয়—আগামী দিনের আনুষ্ঠানিক ঘোষণা শুধু সময়ের অপেক্ষা।
সিএ/এএ


