বিশ্বজুড়ে বিলাসবহুল ঘড়ির প্রতীক হিসেবে পরিচিত রোলেক্স। উচ্চমূল্যের কারণে ব্র্যান্ডটির ঘড়ি সাধারণ বা মধ্যবিত্তের নাগালের বাইরে। স্ট্যাটাস সিম্বল হিসেবে ধনী শ্রেণির হাতেই এটি বেশি দেখা যায়। সময় জানানোর কাজ একটি সাধারণ ঘড়িও করতে পারে—তবে কেন রোলেক্সের ঘড়ির দাম লাখো টাকায় পৌঁছে যায়, এ নিয়ে কৌতূহল অনেকের।
সূক্ষ্ম কারুকাজ ও গবেষণার ফল
রোলেক্সের মূল্য নির্ধারণের সবচেয়ে বড় কারণ এর নির্মাণপ্রক্রিয়ার বিশেষত্ব। কোম্পানিটি দাবি করে, তারা কোনো সাধারণ ঘড়ি তৈরি করে না—প্রতিটি ঘড়ির পেছনে থাকে দীর্ঘ গবেষণা, উন্নতমানের ল্যাবে পরীক্ষা-নিরীক্ষা, এবং নিখুঁত কারিগরি। প্রতিটি ঘড়িকে মাস্টারপিসে রূপ দিতে উপাদান থেকে নকশা—সবক্ষেত্রেই ব্যবহার করা হয় সর্বোচ্চ মান।
প্রতিষ্ঠার গল্প
ব্র্যান্ডটির যাত্রা শুরু ১৯০৫ সালে লন্ডনে। হ্যান্স উইলসডর্ফ ও আলফ্রেড ডেভিস ‘উইলসডর্ফ অ্যান্ড ডেভিস’ নামে একটি ছোট কোম্পানি চালু করেন। শুরুতে তারা নিজেদের নামে ঘড়ি বাজারজাত করতেন না; বরং উচ্চমানের হাতঘড়ি তৈরি করে তা জুয়েলারদের কাছে বিক্রি করতেন। পরে জুয়েলাররা নিজেদের ব্র্যান্ড নাম যুক্ত করে বাজারজাত করতেন।
সেই সময় হাতঘড়িকে পকেট ঘড়ির বিকল্প হিসেবে যথেষ্ট নির্ভরযোগ্য মনে করা হতো না, যদিও পকেট ঘড়ি সামান্য পরিবেশগত পরিবর্তন বা পানির সংস্পর্শে ক্ষতিগ্রস্ত হতো। তবুও তখন সময় পরিমাপের প্রধান মাধ্যম ছিল পকেট ঘড়ি।
দাম বেশি হওয়ার মূল কারণ
রোলেক্স তাদের ঘড়িতে ব্যবহার করে বিশেষ মানের ৯০৪এল স্টিল—এটি সাধারণত অন্যান্য বিলাসবহুল ঘড়ি প্রস্তুতকারকদের ব্যবহৃত ৩১৬এল স্টিলের তুলনায় অনেক বেশি ব্যয়বহুল, টেকসই ও মরিচা-প্রতিরোধী। এই প্রিমিয়াম উপাদান, উৎকর্ষমানের কারিগরি, গবেষণা এবং দীর্ঘ সময়ের ব্র্যান্ড ভ্যালু—সব মিলিয়েই রোলেক্স ঘড়ির দাম হয়ে ওঠে এত বেশি।
সিএ/এএ


