অ্যান্ড্রয়েড ব্যবহারকারীদের জন্য ব্যাটারি সংরক্ষণ ও পারফরম্যান্স নিশ্চিত করতে গুগল নতুন ধরনের পদক্ষেপ নেয়ার ঘোষণা দিয়েছে। অনেক সময় ফোনের ব্যাটারি দ্রুত শেষ হওয়ার কারণ বোঝা যায় না—এটি হতে পারে ফোনের হারানো ক্ষমতা বা কোনো অ্যাপের অতিরিক্ত ব্যাকগ্রাউন্ড কার্যক্রমের কারণে। এ সমস্যা নিরসনে গুগল বিশেষ মনিটরিং মেট্রিক চালু করতে যাচ্ছে।
গুগলের ‘অ্যান্ড্রয়েড ডেভেলপার ব্লগ’-এর মাধ্যমে জানানো হয়েছে, নতুন মেট্রিকটি ডেভেলপারদের ব্যাটারি ব্যবহারের ওপর নজর রাখতে সাহায্য করবে। বিশেষভাবে নজর রাখা হবে ‘ওয়েক লক’-এর ওপর। ওয়েক লক ঘটে যখন কোনো অ্যাপ ফোনকে স্লিপ মোডে যেতে দেয় না, বা স্ক্রিন বন্ধ থাকলেও ব্যাকগ্রাউন্ডে কাজ চালাতে চায়। গুগল জানায়, ওয়েক লক হচ্ছে ব্যাটারি অতিরিক্ত খরচের প্রধান কারণ।
নতুন নিয়ম অনুযায়ী, কোনো ব্যবহারকারীর সেশনে যদি ২৪ ঘণ্টার মধ্যে দুটি ঘণ্টার বেশি ওয়েক লক ঘটে, সেটিকে অতিরিক্ত হিসেবে গণ্য করা হবে। তবে কিছু ক্ষেত্রে ছাড় থাকবে, যেমন ব্যাকগ্রাউন্ডে চলা অডিও প্লেব্যাক বা ব্যবহারকারীর ডেটা ট্রান্সফারের ক্ষেত্রে।
যদি কোনো অ্যাপ ধারাবাহিকভাবে এই সীমা অতিক্রম করে এবং সমস্যার সমাধান না করে, তবে গুগল প্লে স্টোরে ব্যবহারকারীদের সতর্কবার্তা দেখাবে। লেবেলে লেখা থাকবে, “এই অ্যাপের ব্যাকগ্রাউন্ড কার্যকলাপ বেশি হওয়ায় ব্যাটারি খরচ বেশি হতে পারে।” এছাড়া সমস্যা সমাধান না করলে, অ্যাপটি প্লে স্টোরের নির্দিষ্ট সার্চ বিভাগে দেখানো হবে না, যা নতুন ব্যবহারকারীদের কাছে অ্যাপটি সীমিতভাবে দৃশ্যমান হবে।
এই নতুন নিয়ম ২০২৬ সালের ১ মার্চ থেকে কার্যকর হবে। এর মাধ্যমে গুগল আশা করছে, ব্যবহারকারীরা ব্যাটারি খরচের সমস্যার সঙ্গে জড়িত অ্যাপগুলো সহজেই চিহ্নিত করতে পারবেন, এবং ডেভেলপাররাও তাদের অ্যাপের ব্যাকগ্রাউন্ড কার্যক্রম নিয়ন্ত্রণে আনবেন।
সিএ/এমআরএফ


