ইউটিউব এবার নিষিদ্ধ হওয়া কিছু ব্যবহারকারীর নতুন অ্যাকাউন্ট খুলে ভিডিও পোস্ট করার অনুমতি দিচ্ছে। ফলে আগে নিষিদ্ধ হওয়া কিছু ভিডিও পুনরায় প্ল্যাটফর্মে ফিরে আসতে পারে।
গত মাসে ইউটিউব জানিয়েছে, নির্দিষ্ট শর্ত পূরণের মাধ্যমে আগের নিষিদ্ধ ব্যবহারকারী এবং তাদের কিছু কনটেন্টকে পুনরায় ফিরিয়ে আনা হবে। এই পদক্ষেপ আসে যুক্তরাষ্ট্রের রিপাবলিকান আইনপ্রণেতাদের এক তদন্তের পর, যেখানে অভিযোগ ছিল বাইডেন প্রশাসন নির্দিষ্ট ধরনের কনটেন্ট সরানোর জন্য প্রযুক্তি কোম্পানিগুলোর ওপর চাপ প্রয়োগ করেছিল।
ইউটিউব জানিয়েছে, কোভিড-১৯ সংক্রান্ত বিভ্রান্তিমূলক তথ্য এবং ২০২০ সালের মার্কিন নির্বাচন নিয়ে ভুল তথ্য প্রচারের কারণে যে চ্যানেলগুলো বন্ধ হয়েছিল, তারা এখন নতুনভাবে ফিরতে পারবে। কোম্পানি ব্লগ পোস্টে লিখেছে, “অনেক ক্রিয়েটর দ্বিতীয় সুযোগ পাওয়ার যোগ্য। ইউটিউব ২০ বছরে যেমন বদলেছে, আমাদের কমিউনিটির সঙ্গেও নতুন ভারসাম্য তৈরি করতে চাই।”
কীভাবে কাজ করবে নতুন নীতি
আগের নিষিদ্ধ ব্যবহারকারীরা তাদের পুরনো অ্যাকাউন্টে লগইন করে “নতুন অ্যাকাউন্ট তৈরির অনুরোধ” করতে পারবেন। তবে এটি সবাই একসাথে পাবেন না; ইউটিউব ধীরে ধীরে আবেদন গ্রহণ করবে। নিষিদ্ধ হওয়ার কমপক্ষে এক বছর পর ব্যবহারকারীরা আবেদন করতে পারবেন।
আবেদন যাচাই করা হবে ব্যবহারকারীর পূর্ববর্তী আচরণ, নিয়মভঙ্গের মাত্রা এবং তৃতীয় পক্ষের প্ল্যাটফর্মে কর্মকাণ্ডের ভিত্তিতে। তবে কপিরাইট লঙ্ঘন, ক্রিয়েটর রেসপনসিবিলিটি নীতি ভঙ্গ বা স্ব-চ্যানেল মুছে ফেলার ক্ষেত্রে আবেদন গ্রহণযোগ্য হবে না।
নতুন শুরু, পুরনো ভিডিওর সুযোগ
যাদের আবেদন অনুমোদিত হবে, তারা তাদের পুরনো সাবস্ক্রাইবার বা চ্যানেল ফিরে পাবেন না। তবে চাইলে আগের ভিডিও পুনরায় আপলোড করতে পারবেন, যদি তা ইউটিউবের বর্তমান কমিউনিটি গাইডলাইনের সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ হয়। নতুন অ্যাকাউন্ট ইউটিউব পার্টনার প্রোগ্রামে যোগ দিতে পারবে এবং তিন-স্ট্রাইক নীতি তাদের ওপরও প্রযোজ্য হবে।
ইউটিউব জানিয়েছে, এই পরিবর্তন তাদের “স্বাধীন মতপ্রকাশের প্রতিশ্রুতি”র অংশ। সংস্থার মুখপাত্র জানান, “ব্যবহারকারীরা স্পষ্টভাবে বুঝুক কোন নিয়ম ভঙ্গ করলে তারা নিষিদ্ধ হতে পারে।” মেটা সিইও মার্ক জুকারবার্গও জানিয়েছেন, তার কোম্পানি “স্বাধীন মতপ্রকাশে” ফিরে যাচ্ছে এবং আর তৃতীয় পক্ষের ফ্যাক্টচেকারদের ওপর নির্ভর করবে না।
সিএ/এমআর