২০০৩ সালে ইরাক যুদ্ধের বিরুদ্ধে ইতালির রোম শহরে অনুষ্ঠিত রাজনৈতিক সমাবেশটি ইতিহাসে সর্ববৃহৎ হিসেবে স্বীকৃত যেখানে অংশ নিয়েছিলেন প্রায় ৩০ লক্ষ মানুষ। দীর্ঘদিন ধরে এই ঘটনাটিই ছিল গণসমাবেশের চূড়ান্ত উদাহরণ। কিন্তু সময় বদলায়, বাস্তবতা বদলায়, আর ইতিহাস নতুনভাবে নিজেকে লিখতে শুরু করে।
বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশন (বিটিআরসি)-এর প্রকাশিত তথ্যে দেখা যায়, গত ২৫ ডিসেম্বর ঢাকা শহরে বাইরে থেকে নতুনভাবে যুক্ত হওয়া সিম কার্ডের সংখ্যা ছিল ১ কোটি ২০ লক্ষেরও বেশি। আর তারেক রহমানের প্রত্যাবর্তন উপলক্ষে নির্ধারিত সমাবেশস্থলের নিকটবর্তী ৩০০ ফুট পূর্বাচল এলাকার টেলিকম টাওয়ারগুলোর রেকর্ড অনুযায়ী, ঐ নির্দিষ্ট এলাকায় একটিভ সিমের সংখ্যা ছিল ৩০ লক্ষেরও অধিক।
অপরদিকে BG-202 ফ্লাইটের গতিপথ পর্যবেক্ষণের জন্য ব্যবহৃত একটি ওয়েবসাইটে একই সময়ে কন্টিনিউয়াস ট্রাফিক ছিল ৫০ হাজারের বেশি। এর সঙ্গে যুক্ত ছিল ফেসবুক, ইউটিউব, গুগলসহ নানা ডিজিটাল প্ল্যাটফর্মে নজিরবিহীন অনুসন্ধান ও সম্পৃক্ততা—যা সাধারণ পরিমাপের বাইরে এখনো।
ভালোবাসা, আস্থা কিংবা রাজনৈতিক বিশ্বাস—এসব কখনোই কেবল সংখ্যায় মাপা যায় না। কিন্তু পরিসংখ্যান তো উপেক্ষা করা যায় না। টানা ১৭ বছর ধরে মিডিয়া ট্রায়াল, রাজনৈতিক অপপ্রচার ও পরিকল্পিত চরিত্রহননের পরও যদি কোনো নেতার জনপ্রিয়তা ক্ষয় না হয়ে বরং আরও দৃশ্যমান হয়, তবে সেটি নিঃসন্দেহে একটি রাজনৈতিক বাস্তবতা এবং একই সঙ্গে স্বপ্ন দেখার সাহসও যোগায়।
এই প্রেক্ষাপটে যখন মানুষ তারেক রহমানকে “শেষ আশার প্রতীক” বলে উল্লেখ করে, তা শুধু আবেগপ্রবণ কোন স্লোগান নয়; এটি লক্ষ লক্ষ মানুষের সমষ্টিগত উপলব্ধি—যারা শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের রাজনৈতিক উত্তরাধিকার, আদর্শ ও নেতৃত্বের প্রতিফলন হিসেবে তারেক রহমান-এর ওপর আস্থা রাখছেন।
রাজনীতিতে ইতিহাস কখনো এককভাবে লেখা হয় না—তা লিখে দেয় জনগণ। আর জনগণের সেই নীরব অথচ দৃঢ় উপস্থিতি যখন সংখ্যা, পরিসংখ্যান ও বাস্তবতায় স্পষ্ট হয়ে ওঠে, তখন তা উপেক্ষা করার সুযোগ থাকে না।
সাহস ও আত্মবিশ্বাস নিয়ে সামনে এগিয়ে চলার বার্তাই আজ সময়ের দাবি। কারণ ইতিহাস বলছে—যেখানে জনগণের আস্থা অটুট, সেখানে ভবিষ্যৎ কখনো শূন্য থাকে না।
মুজাহিদুল ইসলাম সিয়াম, সিনিয়র যুগ্ম সেক্রেটারি, বিএনপি, ব্রিটিশ কলাম্বিয়া, কানাডা
সিএ/টিআর


