নিয়াশা হক এশা
বিগত বছরগুলোর তুলনায় এই বছর গরম একটু বেশিই পড়ছে। জ্যৈষ্ঠর আম- কাঁঠাল পাকা মৌসুম তার পরপরই শুরু হতে যাচ্ছে বর্ষণমুখর আষাঢ়। এই গরমে ফ্যাশন সচেতন মানুষেরা তাই চিন্তিত। ফ্যাশন করবো এই গরমে! আবার মনে হয় ফ্যাশন ছাড়া চলে নাকি! এই ক্ষেত্রে মেয়েরা একটু বেশীই উদ্বিগ্ন থাকে।গরমের পোশাক নির্বাচনের ক্ষেত্রে তরুণীরা আরামদায়ক পোশাকই বেছে নিচ্ছে।আর আরামদায়ক পোশাক বলতেই বলবো সুতি কাপড়।মোটকথা, গরমে সবচেয়ে বেশী উপযোগী পোশাকই হচ্ছে সুতি কাপড়।
হালকা রঙের জামাও চলছে এই গরমে। প্যাস্টেল শেডগুলো বা হালকা রং গুলো এক সময় সুতির উপরই বেশী মানানসই হয়ে উঠে। সধারনত গরম ও মেয়েদের ফ্যাশন এর কথা চিন্তা করেই পোশাকের পসরা সাজিয়ে রেখেছে বড় বড় ফ্যাশন হাউজ গুলো। হালকা বা ফিকে কোমল রং গুলোই হলো প্যাস্টেল শেড। হালকা হলুদ, পেস্ট, জলপাই সবুজ, বেবি পিংক, আকাশী নীল, বাংগি, বেবিব্লু, সমুদ্রের নীল,লাইট চকোলেট আর সাদা তো আছেই। এসব রং ই অধিক গ্রহণযোগ্য। ব্লক, বাটিক, টাইডাই এবং শিবুরির কাজ এই রং গুলোকে ঘিরেই একসময় শুরু হয়েছিল।
গরমে তরুনীদের পছন্দের পোশাকের মধ্যে রয়েছে – টি-শার্ট,টপস,ফতুয়া,কুর্তা বা সুতি কাপড়ের জামা। তবে বেশীর ভাগ গরমে ঢিলেঢালা পোশাকই আরামদায়ক। স্লিডলেস, হাফ হাতা বা ম্যাগী হাতার পোশাকই তরুণীরা বেশী পছন্দ করে।আর শাড়ির কথা বলতে গেলে প্যাস্টেল শেডগুলোই বেশী দেখা যাচ্ছে। এক্ষেত্রে শাড়ির পাড়টা চিকনই থাকছে। আবার জমিনে রয়েছে স্তিন প্রিন্টারের পরশ হালকা-গাঢ় মিলিয়ে রয়েছে। আবার থাকছে ফুলের নকশা। হালকা কাজ ও হালকা রংয়েই শাড়িগুলো চমৎকার হয়ে উঠেছে। হালকার সাথে একটু রঙিন গয়না হলে মন্দ হয় না! গলায় অনেকগুলো লহরতোলা রঙিন পুতির মালা,হাতে একটা ব্রেসলেট আর চুলে রঙিন ফুল। কপালে একটা টিপ আর চোখে হালকা কাজল, ব্যস, হয়ে গেলো চমৎকার গরমের সাজ।এই অসহ্যকর ঘাম গরমে মন হালকা রাখতে হালকা রং আর হালকা একটু সাজই যথেষ্ট। রং আর কাপড় এর নরমে মন ফুরফুরে থাকে। এভাবেই তো গরমে ফ্যাশন বৈচিত্র হয়ে উঠে।
মডেলঃ সিনথিয়া, এশা, তাহনিমা বেগম।