বর্তমান সময়ে প্রায় সব বাবা-মায়েরই অভিযোগ— সন্তান পড়ায় মনোযোগ দেয় না, খাওয়ার সময় মোবাইল ছাড়া বসতে চায় না, কথা শোনে না। মিলেনিয়াল বা জেনজির তুলনায় এখনকার জেন আলফা প্রজন্মের শিশুদের সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ হলো মোবাইল আসক্তি। গেম খেলা, রিল দেখা বা কার্টুন দেখা— সবকিছুই এখন ছোট পর্দায় সীমাবদ্ধ, যা তাদের মনোযোগ ও স্বাস্থ্যের ওপর বিরূপ প্রভাব ফেলছে। সন্তানকে স্ক্রিন আসক্তি থেকে দূরে রাখতে কিছু সহজ পরিবর্তন আনতে পারেন বাবা-মা।
নিজে মোবাইল থেকে দূরে থাকুন
সন্তানের সঙ্গে সময় কাটানোর সময় মোবাইল ব্যবহার থেকে বিরত থাকুন। গল্প করুন, একসঙ্গে খেলুন বা হালকা কোনো কাজে যুক্ত করুন। শিশুরা বড়দের অনুকরণ করে, তাই আপনি মোবাইল এড়িয়ে চললে তারাও ধীরে ধীরে সেই অভ্যাস গড়ে তুলবে।
খেলায় যুক্ত রাখুন
বাচ্চারা খেলাধুলায় ব্যস্ত থাকলে মোবাইল ধরার সুযোগ পায় না। বাইরে খেলতে না পারলে ঘরে বোর্ড গেম, পাজল, ব্লক সেট বা আঁকার সরঞ্জাম দিন। গল্পের বই বা সৃজনশীল কাজেও আগ্রহী করে তুলুন। এতে স্বাভাবিকভাবেই তাদের স্ক্রিন নির্ভরতা কমে আসবে।
খাওয়ার সময় মোবাইল নয়
অনেক অভিভাবক সন্তানকে খাওয়ানোর সময় মোবাইল দেন, যাতে সহজে খায়। কিন্তু এতে মনোযোগ কমে যায় এবং খাবারের স্বাদ উপভোগ করার ক্ষমতা নষ্ট হয়। বরং খাওয়ার সময় পরিবার মিলে গল্প করুন— এতে সময়ও আনন্দময় হবে, খাওয়াও সহজ হবে।
ধীরে ধীরে স্ক্রিন টাইম কমান
একেবারে হঠাৎ করে মোবাইল বা টিভি বন্ধ করা উচিত নয়। এতে শিশু আরও জেদি হতে পারে। ধীরে ধীরে স্ক্রিন সময় কমিয়ে আনুন। নির্দিষ্ট সময় নির্ধারণ করে দিন— কখন এবং কতক্ষণ স্ক্রিন ব্যবহার করা যাবে। নিয়মিতভাবে সীমা মেনে চললে শিশুদের মধ্যে স্বাস্থ্যকর রুটিন গড়ে উঠবে।
সূত্র: এই সময়
সিএ/এমআরএফ


