বাংলাদেশের মতো ষড়ঋতুর দেশে আবহাওয়া একেক ঋতুতে ভিন্ন হয়। তাই জীবনযাপনের ধরন, পোশাক, খাদ্যাভ্যাস এবং ত্বকের যত্নের রুটিনও ঋতুর সঙ্গে খাপ খাইয়ে পরিবর্তিত হয়। কিন্তু কম মানুষই জানে, সুগন্ধি বা পারফিউমও ঋতুর সঙ্গে মানানসই হওয়া উচিত।
ত্বকের গঠন, ত্বকের রসায়ন, আবহাওয়া এবং ঘামের ধরন ঋতু অনুসারে বদলায়, যা সুগন্ধির দীর্ঘস্থায়ীত্বকে প্রভাবিত করে। গ্রীষ্মকালে হালকা, তাজা ও সাইট্রাস-ভিত্তিক সুগন্ধি বেশি প্রভাবশালী থাকে। শীতকালে hingegen কড়া বা কস্তুরী যুক্ত সুগন্ধি দীর্ঘক্ষণ স্থায়ী হয়। এই কারণেই অনেক সুগন্ধি ব্র্যান্ড তাদের সংগ্রহে সিজনাল বা ঋতুভিত্তিক পারফিউম রাখে।
গবেষণায় দেখা গেছে, শরীরের তাপমাত্রা ঋতুর সঙ্গে সঙ্গে পরিবর্তিত হয়। গ্রীষ্মে শরীর উষ্ণ থাকায় সুগন্ধি দ্রুত ছড়িয়ে পড়ে, তাই কব্জি, ঘাড় ও নাড়ির বিন্দুতে প্রয়োগ করা হয়। শীতে শরীর ঠাণ্ডা থাকায় সুগন্ধি হালকা হয়ে যায়। ফলে গ্রীষ্মকালে হালকা ও সতেজ সুগন্ধি ব্যবহার করা ভালো, শীতকালে শক্তিশালী ও গাঢ় সুগন্ধি বেশি কার্যকর।
গ্রীষ্মে হালকা ও তাজা সুগন্ধি মনকে সতেজ রাখে, আর শীতে ওরিয়েন্টাল, ভ্যানিলা, অ্যাম্বার বা আউডের মতো গাঢ় সুগন্ধি ভালো বিকল্প। সুগন্ধি শুধু ত্বকেই নয়, মন ও অনুভূতিতেও প্রভাব ফেলে। তাই প্রতিটি ঋতুতে ভিন্ন সুগন্ধি ব্যবহার করলে আরও উপভোগ্য অভিজ্ঞতা পাওয়া যায়।
সিএ/এমআর


