সকালেই দিনের সূচনা গুরুত্বপূর্ণ, কিন্তু দিনের শেষটাও সমানভাবে প্রভাব ফেলে পরের দিনের ওপর। বেশিরভাগ মানুষ রাতে ফোন স্ক্রল বা ধারাবাহিক শো দেখার মাধ্যমে সময় নষ্ট করেন। কিন্তু সবচেয়ে সফল ব্যক্তিরা তাদের রাতের সময়কে আগামীকালের জন্য প্রস্তুতি নিতে ব্যবহার করেন।
এদের রাতের অভ্যাসগুলো সহজ কিন্তু কার্যকরী:
১. পরের দিনের পরিকল্পনা:
ঘুমানোর আগে ১০-১৫ মিনিট বরাদ্দ দিয়ে পরের দিনের অগ্রাধিকার নির্ধারণ করা। লক্ষ্য, গুরুত্বপূর্ণ কাজ, পরিধান বা খাবারের প্রস্তুতি ঠিক করে নেওয়া তাদের মনকে বিশৃঙ্খলা থেকে মুক্ত রাখে।
২. দিনের মূল্যায়ন:
সফল ব্যক্তিরা দিনের ভালো-মন্দ ঘটনা বিশ্লেষণ করেন, ভুল থেকে শিক্ষা নেন এবং সামান্য অগ্রগতি উদযাপন করেন। এটি ক্রমাগত উন্নতি এবং আত্ম-সচেতনতার সহায়ক।
৩. প্রযুক্তি থেকে বিচ্ছিন্ন থাকা:
ঘুমের ঠিক আগে ফোন, ইমেল বা সোশ্যাল মিডিয়ার ব্যবহার এড়ানো। এ সময়টি বই পড়া, মেডিটেশন, জার্নাল লেখা বা পরিবারের সঙ্গে সময় কাটানোর জন্য ব্যবহার করা হয়।
৪. ঘুমকে অগ্রাধিকার দেওয়া:
সুস্থ ও সতেজ থাকার জন্য ধারাবাহিক ঘুমের রুটিন বজায় রাখা। ঘুমের আগে ভারী খাবার ও ক্যাফেইন এড়ানো তাদের প্রোডাক্টিভিটি বাড়ায়।
৫. সাফল্যের কল্পনা করা:
ঘুমানোর আগে লক্ষ্য এবং তা অর্জনের ধাপগুলো মানসিকভাবে কল্পনা করা। এটি প্রেরণা ও আত্মবিশ্বাস বৃদ্ধি করে, এবং পরের দিনকে উদ্দেশ্যপূর্ণ করে তোলে।
সফল ব্যক্তিরা জানেন, রাতের ছোট ছোট অভ্যাস পরের দিনের সম্ভাবনাকে বদলে দিতে পারে। সুতরাং রাতে কিছু সময়ের জন্য পরিকল্পনা, বিশ্লেষণ, প্রযুক্তি থেকে বিরতি, ঘুমের যত্ন ও সাফল্যের কল্পনা অনুশীলন করুন, আগামীকালকে আরও ফলপ্রসূ করুন।
সিএ/এমআর