প্রেক্ষাগৃহে মুক্তির পর থেকেই বক্স অফিসে দুর্দান্ত সাফল্য পাচ্ছে আদিত্য ধর পরিচালিত সিনেমা ‘ধুরন্ধর’। নানা বিতর্কের মধ্যেও ছবিটি ইতোমধ্যে বিশ্বব্যাপী আয় করেছে ৩০০ কোটি রুপির বেশি। বাণিজ্যিক সাফল্যের এই দৌড়ে এগোলেও আন্তর্জাতিক মুক্তির ক্ষেত্রে বড় ধাক্কা খেয়েছে সিনেমাটি।
বিশ্বের বিভিন্ন দেশে মুক্তি পেলেও মধ্যপ্রাচ্যের ছয়টি দেশে ‘ধুরন্ধর’-এর প্রদর্শনী নিষিদ্ধ করা হয়েছে। নিষিদ্ধ দেশগুলো হলো— বাহরাইন, কুয়েত, ওমান, কাতার, সৌদি আরব ও সংযুক্ত আরব আমিরাত। এসব দেশে সিনেমাটি প্রেক্ষাগৃহে মুক্তির অনুমতি পায়নি।
ভারতীয় গণমাধ্যমের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ছবিটিতে পাকিস্তানবিরোধী বার্তা থাকার অভিযোগে সংশ্লিষ্ট দেশগুলোর সেন্সর বোর্ড সিনেমাটির প্রদর্শনের অনুমোদন দেয়নি। তবে নিষেধাজ্ঞার বিষয়ে এসব দেশের পক্ষ থেকে এখনো পর্যন্ত কোনো আনুষ্ঠানিক ব্যাখ্যা দেওয়া হয়নি।
সিনেমার প্রযোজনা সংস্থার সূত্র জানিয়েছে, মধ্যপ্রাচ্যে ‘ধুরন্ধর’ মুক্তির জন্য তারা সর্বোচ্চ চেষ্টা করেছে। কারণ এই অঞ্চল হিন্দি সিনেমার অন্যতম বড় বাজার এবং এখানে বিপুলসংখ্যক প্রবাসী ভারতীয় বসবাস করেন। কিন্তু নানা আলোচনা ও উদ্যোগের পরও কোনো দেশই নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহারে রাজি হয়নি।
তবে মধ্যপ্রাচ্যে বলিউড সিনেমা নিষিদ্ধ হওয়ার ঘটনা নতুন নয়। এর আগেও ‘ফাইটার’, ‘স্কাই ফোর্স’, ‘দ্য ডিপ্লোম্যাট’, ‘আর্টিকেল ৩৭০’, ‘টাইগার ৩’ ও ‘দ্য কাশ্মীর ফাইলস’-এর মতো সিনেমাগুলো শুরুতে মধ্যপ্রাচ্যের কয়েকটি দেশে মুক্তির অনুমতি পায়নি। পরে অবশ্য কিছু দেশের ক্ষেত্রে নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার করা হয়েছিল। যেমন, ‘ফাইটার’ পরবর্তীতে সংযুক্ত আরব আমিরাতে মুক্তি পায়।
এক ভারতীয় গুপ্তচরের পাকিস্তানের ভেতরে ঢুকে দুঃসাহসী অভিযানের গল্প নিয়ে নির্মিত ‘ধুরন্ধর’ সিনেমাটিতে অভিনয় করেছেন রণবীর সিং, সঞ্জয় দত্ত, অক্ষয় খান্না, অর্জুন রামপাল, আর. মাধবন ও শিশুশিল্পী সারা অর্জুনসহ আরও অনেকে।
বাণিজ্যিক সাফল্য আর আন্তর্জাতিক বিতর্ক—এই দুইয়ের মাঝেই এগিয়ে চলেছে ‘ধুরন্ধর’। এখন দেখার বিষয়, মধ্যপ্রাচ্যের দেশগুলোতে সিনেমাটির নিষেধাজ্ঞা আদৌ প্রত্যাহার হয় কি না।
সূত্র: ইন্ডিয়া টুডে
সিএ/এএ


