রাজধানীর খুচরা বাজারে মুরগির দাম বেড়েছে, তবে মাছের বাজারে স্থিতিশীলতা বজায় আছে। শুক্রবার (৭ নভেম্বর) সকালে উত্তরার আজমপুর কাঁচাবাজারে ঘুরে দেখা গেছে, দেশি মুরগি কেজিতে বিক্রি হচ্ছে ৬০০ টাকায়, আর ব্রয়লার ১৭০ টাকা কেজি দরে।
এদিন বাজারে লাল লেয়ার মুরগি বিক্রি হচ্ছে ৩০০ টাকা, সোনালি মুরগি ২৮০ টাকা, পাকিস্তানি মুরগি ৩২০ টাকা এবং দেশি হাঁস ৫৫০ থেকে ৬০০ টাকা কেজিতে। বিক্রেতারা জানান, খাদ্য ও পরিবহন খরচ বেড়ে যাওয়ায় মুরগির দাম নিয়ন্ত্রণে রাখা যাচ্ছে না।
মুরগি বিক্রেতা আবদুল কাদের বলেন, “খামারের খাদ্যের দাম এবং বাচ্চার দাম বেড়েছে। আমরা পাইকারি বাজার থেকে ১৫০ টাকায় কিনে ১৭০ টাকায় বিক্রি করছি। এতে লাভ প্রায় নেই, বরং ক্রেতাদের অসন্তোষ শুনতে হচ্ছে।”
অন্য এক বিক্রেতা রবিউল আলম বলেন, “মুরগির বাজার এখন পুরোপুরি খামারনির্ভর। খাদ্যের দাম এবং উৎপাদন ব্যয় বাড়ায় আমরা পুরোনো দামে বিক্রি করলে ক্ষতি হয়। অনেক সময় দাম না বাড়িয়ে টিকেও থাকা কঠিন হয়ে পড়ে।”
ক্রেতাদের অভিযোগ, বাজারে কোনো নিয়ন্ত্রণ নেই। মাহমুদুল হাসান নামে এক ক্রেতা বলেন, “দেশি মুরগি এখন হাতের নাগালের বাইরে। বাধ্য হয়ে ব্রয়লার মুরগিই কিনছি। আগে হাঁস পিস হিসেবে বিক্রি হতো, এখন কেজি ধরে ৬০০ টাকা নিচ্ছে বিক্রেতারা, তদারকি নেই কোথাও।”
মাংসের বাজারেও একই চিত্র। রাজধানীর বিভিন্ন বাজারে গরুর মাংস বিক্রি হচ্ছে ৭৫০ থেকে ৮০০ টাকা কেজি দরে, আর খাসির মাংস ১০০০ থেকে ১১০০ টাকা পর্যন্ত উঠেছে।
অন্যদিকে, মাছের বাজারে তেমন পরিবর্তন নেই। বড় রুই বিক্রি হচ্ছে ৩৫০–৪২০ টাকা, মাঝারি রুই ৩০০–৩২০ টাকা, ছোট রুই ২৫০–২৮০ টাকা কেজি দরে। কাতল মাছের দাম ৩৮০–৪৫০ টাকা, পাঙাশ ১৮০–২৩০ টাকা, তেলাপিয়া ১৫০–২২০ টাকা এবং শিং-মাগুর যথাক্রমে ৫৫০ ও ৫০০ টাকা কেজিতে বিক্রি হচ্ছে।
এছাড়া পাবদা মাছ আকারভেদে ৩০০–৬০০ টাকা, গলদা চিংড়ি ৬৫০–৭৫০ টাকা, ছোট চিংড়ি ৩০০ টাকা, মলা মাছ ৩০০ টাকা, কাঁচকি ৪৫০ টাকা এবং কালিবাউশ ৪৫০ টাকা কেজিতে পাওয়া যাচ্ছে।
বিক্রেতারা জানান, মাছের সরবরাহ পর্যাপ্ত থাকায় দাম স্থিতিশীল আছে। তবে মুরগি ও মাংসের বাজারে খরচ বাড়ায় ক্রেতারা চাপে পড়ছেন।
সিএ/এমআরএফ


