দীর্ঘ ১৭ বছর পর বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান আগামীকাল বৃহস্পতিবার (২৫ ডিসেম্বর) দুপুর ১২টার দিকে দেশে ফিরছেন। দেশে ফেরার পর প্রথম তিন দিনে তিনি যেসব কর্মসূচিতে অংশ নেবেন, সে বিষয়ে বিস্তারিত তথ্য জানিয়েছেন দলের স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমদ।
আজ বুধবার (২৪ ডিসেম্বর) দুপুরে গুলশানে বিএনপির চেয়ারপারসনের রাজনৈতিক কার্যালয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে তারেক রহমানের তিন দিনের কর্মসূচির কথা জানান সালাহউদ্দিন আহমদ। তিনি বলেন, আগামীকাল দুপুরে বিমানবন্দরে অবতরণের পর দলের জ্যেষ্ঠ নেতারা তারেক রহমানকে স্বাগত জানাবেন। এরপর তিনি জুলাই এক্সপ্রেসওয়ে তথা ৩০০ ফিট রাস্তায় নির্ধারিত সংবর্ধনাস্থলে যাবেন। সেখানে অপেক্ষমাণ নেতা-কর্মীদের ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা জানিয়ে দেশবাসীর উদ্দেশে বক্তব্য দেবেন তিনি।
সংবর্ধনা শেষে বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াকে দেখতে তারেক রহমান এভারকেয়ার হাসপাতালে যাবেন। সেখান থেকে বিমানবন্দর সড়ক হয়ে কাকলীর মোড় অতিক্রম করে গুলশান–২ নম্বরে তাঁর বাসভবনে ফিরবেন। ওই দিন আর কোনো রাজনৈতিক বা সাংগঠনিক কর্মসূচি রাখা হয়নি বলে জানান সালাহউদ্দিন আহমদ।
তিনি আরও জানান, পরদিন শুক্রবার (২৬ ডিসেম্বর) জুমার নামাজের পর তারেক রহমান বাসভবন থেকে প্রথমে রাজধানীর শেরেবাংলা নগরে শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের কবর জিয়ারত করবেন। এরপর তিনি সাভারের জাতীয় স্মৃতিসৌধে গিয়ে মুক্তিযুদ্ধের শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানাবেন।
এর পরদিন শনিবার (২৭ ডিসেম্বর) তারেক রহমানের আরও দুটি কর্মসূচি রয়েছে। ওই দিন তিনি জাতীয় পরিচয়পত্র সংক্রান্ত কার্যক্রম সম্পন্ন করবেন। এ জন্য তিনি সশরীরে রাজধানীর আগারগাঁওয়ে নির্বাচন কমিশন কার্যালয়ে যাবেন কি না, তা পরে জানানো হবে। একই দিনে ভোটার হতে প্রয়োজনীয় সব আনুষ্ঠানিকতা সম্পন্ন করবেন তিনি। এরপর শহীদ ওসমান হাদির কবর জিয়ারত করতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে যাবেন।
শহীদ ওসমান হাদির কবর জিয়ারত শেষে তারেক রহমান রাজধানীর শ্যামলীতে জাতীয় অর্থোপেডিক হাসপাতাল ও পুনর্বাসন প্রতিষ্ঠান (পঙ্গু হাসপাতাল)-এ গিয়ে জুলাই গণ–অভ্যুত্থানে আহত ব্যক্তিদের সঙ্গে সাক্ষাৎ করবেন। এরপর আরেকটি কর্মসূচি রয়েছে, যার বিস্তারিত পরে জানানো হবে বলে জানান সালাহউদ্দিন আহমদ।
এদিকে তারেক রহমানের নিরাপত্তা প্রসঙ্গে বিএনপির চেয়ারপারসন ও ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যানের প্রধান নিরাপত্তা কর্মকর্তা ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) এ কে এম শামছুল ইসলাম বলেন, ‘দলের পক্ষ থেকে যে নিরাপত্তাব্যবস্থা, সেটার সর্বোচ্চ ব্যবহার করা হবে। এর মধ্যে ক্ষুদ্র একটা অংশ হলো চেয়ারপারসন সিকিউরিটি ফোর্স। তারপর আমাদের দলীয় নেতা–কর্মী এবং সর্বোপরি বাংলাদেশের আপামর জনসাধারণ হলো আমাদের নিরাপত্তার মূল ভিত্তি।’
তিনি আরও বলেন, ‘আমাদের সব ধরনের সহায়তার জন্য সরকার তার বিভিন্ন বাহিনী এবং সংস্থাগুলোকে নির্দেশ দিয়েছে। তাদের সঙ্গে আমাদের গভীর ও নিবিড় সম্পর্ক সৃষ্টি হয়েছে এবং সব গভর্নমেন্টাল অর্গানাইজেশন, আমাদের দলীয় যে শক্তি আছে, সেটাকে ইন্টিগ্রেট করে আমরা আশা করছি, আমাদের জানামতে যতটুকু নিরাপত্তা আছে, তার চেয়ে অনেক শক্তিশালী নিরাপত্তাব্যবস্থা আমরা সৃষ্টি করব।’
সিএ/জেএইচ


