বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলের (বিএনপি) ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান বলেছেন, স্বল্পোন্নত দেশ (এলডিসি) থেকে উত্তরণ এবং বন্দর সংশ্লিষ্ট দীর্ঘমেয়াদি সিদ্ধান্ত নেওয়ার ক্ষমতা কেবল নির্বাচিত সরকারেরই থাকে। নির্বাচনী ম্যান্ডেটবিহীন কোনো সরকার এ ধরনের সিদ্ধান্ত নিতে পারে না বলে তিনি মন্তব্য করেন।
সোমবার নিজের ফেসবুক অ্যাকাউন্টে প্রকাশিত একটি দীর্ঘ পোস্টে তিনি এ বিষয়ে বিস্তারিত ব্যাখ্যা দেন। তারেক রহমান দাবি করেন, ২০২৬ সালে এলডিসি থেকে উত্তরণের সময়সূচি বজায় রাখার সিদ্ধান্ত ‘সম্পূর্ণ রাজনৈতিক’। অথচ এমন একটি অন্তর্বর্তী সরকার সিদ্ধান্ত নিচ্ছে, যাদের হাতে জনগণের ম্যান্ডেট নেই। তিনি বলেন, এ সিদ্ধান্ত দেশের আগামী কয়েক দশকের অর্থনীতিতে প্রভাব ফেলবে—এমন প্রতিশ্রুতি দেওয়া হচ্ছে।
তিনি আরও উল্লেখ করেন, ব্যাংকিং খাতের চাপ, বৈদেশিক মুদ্রার সংকট, ঋণের ঝুঁকি, রপ্তানি কমে যাওয়া—এসবই প্রমাণ করে যে প্রস্তুতি ছাড়া শুধু ‘অধিকার’ দিয়ে উত্তরণ সম্ভব নয়। চট্টগ্রাম বন্দর নিয়ে সাম্প্রতিক দীর্ঘমেয়াদি সিদ্ধান্তগুলোও তিনি একই দৃষ্টিতে দেখছেন।
দীর্ঘ পোস্টের একাংশে তিনি লেখেন, বিএনপি আগে থেকেই বলে আসছে, ২০২৬ সালে উত্তরণের সময় ঠিক রেখে স্থগিতের বিকল্প খোলা না রাখা একটি রাজনৈতিক সিদ্ধান্ত, যা নিচ্ছে একটি নির্বাচনী ম্যান্ডেটবিহীন অন্তর্বর্তীকালীন সরকার। এর পরও তারা এমন দীর্ঘমেয়াদি সিদ্ধান্ত নিচ্ছে, যা দেশের অর্থনৈতিক ভবিষ্যৎকে দীর্ঘ সময়ের জন্য প্রভাবিত করবে।
চট্টগ্রাম বন্দরের প্রসঙ্গে তিনি বলেন, এটি দেশের অর্থনীতির প্রবেশদ্বার। এখানে নেওয়া সিদ্ধান্ত লাখো মানুষের জীবনে গভীর প্রভাব ফেলে। বন্দরকে কেন্দ্র করে সাম্প্রতিক দীর্ঘমেয়াদি সিদ্ধান্তগুলো কোনো রুটিন সিদ্ধান্ত নয়, বরং জাতীয় সম্পদ নিয়ে কৌশলগত অঙ্গীকার—যা একটি অনির্বাচিত অন্তর্বর্তী সরকার ভবিষ্যৎ প্রজন্মকে বেঁধে দেওয়ার মতো করে এগিয়ে নিচ্ছে। তারেক রহমানের মতে, চট্টগ্রাম বন্দরে যা দেখা যাচ্ছে, তা এলডিসি উত্তীর্ণ হওয়ার প্রক্রিয়ারই প্রতিচ্ছবি। সেখানে কৌশলগত বিকল্পগুলো বন্ধ, জনআলোচনাকে উপেক্ষা করা হচ্ছে এবং যুক্তিসঙ্গত উদ্বেগকে ‘অনিবার্যতা’র যুক্তি দিয়ে সরিয়ে রাখা হচ্ছে।
সিএ/এমআরএফ


