সেনাবাহিনীর মানবতাবিরোধী অপরাধে জড়িত সদস্যদের বিরুদ্ধে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেছে। তাদের দ্রুত গ্রেপ্তার করে বিচারের আওতায় আনতে হবে বলে মন্তব্য করেছেন জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) আহ্বায়ক নাহিদ ইসলাম।
বৃহস্পতিবার রাতে নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে দেওয়া এক পোস্টে তিনি এ দাবি জানান। এর আগে বুধবার প্রতিরক্ষা গোয়েন্দা মহাপরিদপ্তর (ডিজিএফআই)-এর সাবেক পাঁচ মহাপরিচালকসহ কয়েকজন সেনাসদস্যের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-১।
পোস্টে নাহিদ ইসলাম লেখেন, সেনাবাহিনী বাংলাদেশের স্বাধীনতা, সার্বভৌমত্ব ও জাতীয় নিরাপত্তার জন্য সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ প্রতিষ্ঠান। জুলাই-আগস্টের গণঅভ্যুত্থানে তরুণ সেনা অফিসার ও সৈনিকেরা জনগণের পাশে দাঁড়িয়ে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছেন। কিন্তু ন্যায়বিচারের প্রক্রিয়া সবার জন্য সমানভাবে প্রযোজ্য হতে হবে। কোনো ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠান তার বাইরে নয়।
তিনি অভিযোগ করেন, ফ্যাসিবাদী শাসনামলে রাষ্ট্রের প্রায় সব প্রতিষ্ঠান দলীয় স্বার্থে ব্যবহৃত হয়েছে। এর প্রভাব সেনাবাহিনীতেও পড়ে। বিশেষত র্যাব ও ডিজিএফআইয়ের দায়িত্বে থাকা কিছু কর্মকর্তা গুম, খুন ও ক্রসফায়ারের মতো মানবতাবিরোধী অপরাধ করেছেন। এমনকি জুলাই গণঅভ্যুত্থানের সময় নিরস্ত্র জনগণের ওপর গুলি চালানো হয়েছে।
নাহিদ ইসলাম বলেন, সেনাবাহিনীকে কলঙ্কমুক্ত করতে হলে এসব অপরাধীদের বিচারের মুখোমুখি করতেই হবে। এ বিষয়ে সেনা নেতৃত্ব সরকারের সঙ্গে সহযোগিতা করবে বলে তিনি আশা প্রকাশ করেন।
তিনি আরও লেখেন, “আমরা চাই না সেনাবাহিনী ও বিচারব্যবস্থা মুখোমুখি হোক। দেশবিরোধী গোষ্ঠীগুলো সংঘাত চাইছে। আমরা সামরিক হস্তক্ষেপ চাই না, আবার রাজনৈতিক প্রভাবও চাই না। দেশপ্রেম, সততা ও যোগ্যতার ভিত্তিতেই প্রতিষ্ঠানগুলো পরিচালিত হতে হবে।”
পোস্টের শেষাংশে নাহিদ ইসলাম জানান, ৫ আগস্টের পর থেকে স্থিতিশীলতা বজায় রাখতে সর্বাত্মক প্রচেষ্টা চালানো হচ্ছে। সংস্কার, বিচার ও নির্বাচনের পথে অগ্রগতি ঘটেছে। এখন মূল লক্ষ্য ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠা ও দুর্নীতি-দুর্বৃত্তায়নের বিরুদ্ধে সংগ্রাম জোরদার করা।
সিএ/এমআর