বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিবি) নির্বাচনকে ঘিরে চলমান বিতর্কের মধ্যে সরব হলেন বিএনপি চেয়ারপারসনের পররাষ্ট্রবিষয়ক কমিটির বিশেষ সহকারী ইঞ্জিনিয়ার ইশরাক হোসেন। বুধবার (১ অক্টোবর) রাতে নিজের সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে দেওয়া এক পোস্টে তিনি বিসিবি নির্বাচন, রাজনীতিবিদদের ক্রীড়া সংগঠনে সম্পৃক্ততা এবং সরকারের ভূমিকা নিয়ে স্পষ্ট মতামত প্রকাশ করেন।
ইশরাক বলেন, নির্বাচনকে প্রভাবিত না করার জন্য এতদিন নীরব ছিলেন। তবে পরিস্থিতি ব্যাখ্যা করতে গিয়ে তিনি উল্লেখ করেন, “সব খুলে বললে অনেকের পরনের প্যান্ট খুলে যাওয়ার মতো পরিস্থিতি হতে পারে।”
কী বললেন ইশরাক?
তার পোস্টে ইশরাক লেখেন—
- বিএনপির কয়েকজন সিনিয়র নেতার সন্তান ক্রিকেট বোর্ডে আসতে চেয়েছিলেন দেশ ও জাতিকে কিছু দেওয়ার উদ্দেশ্যে।
- কিন্তু কিছু মহল এমনভাবে সমালোচনা করেছে, যেন রাজনীতিবিদ বা তাদের পরিবারের সদস্যদের ক্রীড়া সংগঠনে থাকা ‘অবৈধ বা হারাম’।
- প্রার্থীরা সবাই যোগ্য, শিক্ষিত, ক্রিকেটপ্রেমী এবং সংগঠক বা অর্থায়নের মাধ্যমে ক্রিকেটে অবদান রাখা মানুষ।
তিনি আরও দাবি করেন, বর্তমানে যাদের ‘কিংস পার্টি’ বলা হয়, তাদের ইন্ধনে অন্তর্বর্তী সরকারের এক উপদেষ্টা সরাসরি হস্তক্ষেপ করেছেন। এ প্রক্রিয়ায় জেলা পর্যায়ে নিজেদের কাউন্সিলর নিয়োগ দিয়েছেন এবং অন্যদের বৈধ কাউন্সিলর বাদ দেওয়া হয়েছে। এমনকি ডিসিদেরও হুমকি দেওয়া হয়েছে বলে অভিযোগ করেন তিনি।
প্রক্রিয়া নিয়ে অভিযোগ
ইশরাকের ভাষ্য, “একটি পূর্ব-পরিকল্পিত নির্বাচনী পদ্ধতি ব্যবহার করে নিজেদের কাউন্সিলর অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। উদ্দেশ্য একটাই—বোর্ডে আধিপত্য কায়েম করা।”
সমাপ্তি টানেন সতর্কবাণীতে
পোস্টের শেষে তিনি সূরা বাকারার একটি আয়াত উল্লেখ করে লেখেন, বিসিবিতে কী হচ্ছে এবং ভবিষ্যতে এর ফল কী হতে পারে, তা সবাই একদিন দেখতে পাবেন।
সিএ/এমআরএফ