উপদেষ্টা পরিষদ বৃহস্পতিবার (২৭ নভেম্বর) জাতীয় মানবাধিকার কমিশন অধ্যাদেশের চূড়ান্ত অনুমোদন দিয়েছে। প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম রাজধানীর বেইলি রোডে অবস্থিত ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে জানান।
অনুমোদিত অধ্যাদেশটি দেশের মানবাধিকার রক্ষা ও সুরক্ষার ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে। এটি জাতীয় মানবাধিকার সংস্থার কার্যক্রমকে আরও শক্তিশালী করবে এবং বিভিন্ন মানবাধিকার লঙ্ঘনের ঘটনা তদন্ত ও সমাধানের ক্ষেত্রে সুস্পষ্ট কাঠামো প্রদান করবে।
এ অনুমোদন রাজধানীর তেজগাঁওয়ে প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত অন্তর্বর্তী সরকারের উপদেষ্টা পরিষদের বৈঠকে দেওয়া হয়। বৈঠকে সভাপতিত্ব করেন প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস। বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন বিভিন্ন উপদেষ্টা এবং সরকারের উচ্চপর্যায়ের কর্মকর্তারা। তারা অধ্যাদেশের বিভিন্ন দিক আলোচনা করেছেন এবং দেশের জনগণের মানবাধিকার সুরক্ষায় এর কার্যকর প্রভাব নিয়ে মতবিনিময় করেন।
প্রেস সচিব শফিকুল আলম জানান, এই অধ্যাদেশ কার্যকর হওয়ার মাধ্যমে জাতীয় মানবাধিকার কমিশন স্বাধীনভাবে কাজ করতে পারবে। এটি বিভিন্ন সরকারি ও বেসরকারি সংস্থার মানবাধিকার লঙ্ঘন সম্পর্কিত অভিযোগ গ্রহণ, তদন্ত এবং সুপারিশ করার ক্ষমতা পাবে। এছাড়া, নাগরিকদের সচেতনতা বৃদ্ধির জন্য বিভিন্ন শিক্ষা ও কর্মশালার আয়োজনের সুযোগও তৈরি হবে।
সিএ/এমআরএফ


