জাতীয় সংসদ নির্বাচনের দিনই গণভোট আয়োজনের প্রস্তুতির অংশ হিসেবে আগামী তিন থেকে চার কার্যদিবসের মধ্যেই গণভোট আইন প্রণয়ন করা হবে বলে জানিয়েছেন আইন উপদেষ্টা অধ্যাপক আসিফ নজরুল।
বৃহস্পতিবার (২০ নভেম্বর) রাজধানীর ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে আয়োজিত ব্রিফিংয়ে তিনি জানান, প্রধান উপদেষ্টার ঘোষণার ধারাবাহিকতায় নির্বাচন ও গণভোট একই দিনে অনুষ্ঠিত হবে এবং সংশ্লিষ্ট সব আইনগত প্রস্তুতি দ্রুততার সঙ্গে এগিয়ে নেওয়া হচ্ছে।
আইন উপদেষ্টা আরও বলেন, বিচার বিভাগের পূর্ণ স্বাধীনতা নিশ্চিত করতে পৃথক সুপ্রিম কোর্ট সচিবালয় গঠনের প্রক্রিয়া চূড়ান্ত পর্যায়ে রয়েছে। আগামী সাত দিনের মধ্যেই সচিবালয় আইন কার্যকরের উদ্যোগ নেওয়া হবে এবং আইন কার্যকর হওয়ার দুই থেকে তিন মাসের মধ্যেই সচিবালয় প্রতিষ্ঠার কাজ শুরু হবে।
তিনি জানান, আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত সাবেক প্রধানমন্ত্রী হাসিনাকে দেশে ফেরাতে রোমভিত্তিক আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালতে চিঠি দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার। পাশাপাশি প্রত্যার্পণ চুক্তি বাস্তবায়নে পুনরায় ভারতের কাছে আবেদন করা হবে।
সভায় তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা বাস্তবায়ন, আমদানি নীতি সংস্কার, কৃষিজমি রক্ষা এবং মানবপাচার-অভিবাসী ও চোরাচালান দমন অধ্যাদেশ-২০২৫ নীতিগত অনুমোদন দেওয়া হয়।
গত ১৩ নভেম্বর জাতির উদ্দেশে দেওয়া ভাষণে প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস জানান, ফেব্রুয়ারির প্রথমার্ধে ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে এবং ওইদিনই গণভোটের আয়োজন করা হবে। তার মতে, নির্বাচন ও গণভোট একসঙ্গে অনুষ্ঠিত হলে ব্যয় সাশ্রয়ী এবং আরও উৎসবমুখর পরিবেশ সৃষ্টি হবে।
তিনি আরও বলেন, গণভোটে চারটি বিষয়ের ওপর একটিমাত্র প্রশ্নে জনগণ ‘হ্যাঁ’ অথবা ‘না’ ভোটের মাধ্যমে মতামত জানাবেন। সংখ্যাগরিষ্ঠ ভোট ‘হ্যাঁ’ হলে নির্বাচিত জনপ্রতিনিধিদের নিয়ে সংবিধান সংস্কার পরিষদ গঠন করা হবে, যা প্রথম অধিবেশন শুরুর ১৮০ কার্যদিবসের মধ্যে সংবিধান সংস্কারের কাজ সম্পন্ন করবে। এরপর ভোটের অনুপাতে উচ্চকক্ষ গঠিত হবে এবং তার মেয়াদ থাকবে নিম্নকক্ষের শেষ কার্যদিবস পর্যন্ত।
সিএ/এমআরএফ


