সেনাপ্রধান জেনারেল ওয়াকার-উজ-জামান আধুনিক ও যুগোপযোগী প্রশিক্ষণের মাধ্যমে সক্ষমতা অর্জন করে একবিংশ শতাব্দীর জটিল ও কঠিন চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় বাংলাদেশ সেনাবাহিনী প্রস্তুত থাকার আহ্বান জানিয়েছেন। তিনি বৃহস্পতিবার (১৩ নভেম্বর) রাজশাহী সেনানিবাসস্থ বাংলাদেশ ইনফ্যান্ট্রি রেজিমেন্টাল সেন্টারের (বিআইআরসি) শহিদ কর্নেল নকীব হলে অনুষ্ঠিত বাংলাদেশ ইনফ্যান্ট্রি রেজিমেন্টের ২০তম বার্ষিক অধিনায়ক সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এ আহ্বান জানান।
আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ পরিদপ্তরের (আইএসপিআর) সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে, সম্মেলনে সেনাপ্রধান রেজিমেন্টের গৌরবোজ্জ্বল ঐতিহ্য, দেশমাতৃকার সেবায় অবদান এবং রেজিমেন্টের সদস্যদের পেশাগত দক্ষতা বৃদ্ধির ওপর গুরুত্বারোপ করেন। তিনি বলেন, প্রযুক্তিগত দক্ষতা, গবেষণা ও উন্নত প্রশিক্ষণ অর্জন করে রেজিমেন্টের সদস্যরা বর্তমান ও ভবিষ্যতের চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় আরও কার্যকরভাবে অবদান রাখতে সক্ষম হবেন।
অনুষ্ঠানে সেনাপ্রধান আধুনিক প্রযুক্তি ব্যবহারের মাধ্যমে প্রশিক্ষণ প্রক্রিয়া, কৌশলগত উন্নয়ন, এবং পেশাগত দক্ষতা বৃদ্ধির বিষয়েও আলোকপাত করেন। তিনি বলেন, একবিংশ শতাব্দীতে নতুন ধরনের হুমকি ও প্রতিরক্ষা চ্যালেঞ্জের সঙ্গে মোকাবিলায় বাংলাদেশ সেনাবাহিনী সদা প্রস্তুত থাকাকে জাতীয় সুরক্ষার অপরিহার্য অংশ হিসেবে দেখছে।
এছাড়া সম্মেলনে তিনি বাংলাদেশ ইনফ্যান্ট্রি রেজিমেন্টের কর্মকর্তাদের সঙ্গে মতবিনিময় করেন এবং ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা, রেজিমেন্টের প্রযুক্তিগত উন্নয়ন, গবেষণা কার্যক্রম ও প্রশিক্ষণ কৌশল নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করেন।
সেনাপ্রধান বিআইআরসি সম্মেলন কক্ষে পৌঁছালে তাকে জিওসি, আর্মি ট্রেনিং অ্যান্ড ডকট্রিন কমান্ড (আর্টডক); কমান্ড্যান্ট, বাংলাদেশ ইনফ্যান্ট্রি রেজিমেন্টাল সেন্টার; জিওসি, ১১ পদাতিক ডিভিশন ও এরিয়া কমান্ডার, বগুড়া এরিয়া অভ্যর্থনা জানান। অনুষ্ঠানে জিওসি, আর্টডক; কমান্ড্যান্ট, বাংলাদেশ ইনফ্যান্ট্রি রেজিমেন্টাল সেন্টার; জিওসি, ১১ পদাতিক ডিভিশন ও এরিয়া কমান্ডার, বগুড়া এরিয়া; সেনাসদরের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা; বাংলাদেশ ইনফ্যান্ট্রি রেজিমেন্টাল সেন্টার ও রাজশাহী স্টেশনে কর্মরত সব অফিসার এবং রেজিমেন্টাল সেন্টারের সব ইউনিটের অধিনায়ক উপস্থিত ছিলেন।
সেনাপ্রধানের এ বক্তব্যে রেজিমেন্টের সদস্যদের মধ্যে দেশের সুরক্ষা ও নিরাপত্তায় আরও দায়বদ্ধতা ও সতর্কতার বার্তা প্রদান করা হয়েছে। আধুনিক প্রশিক্ষণ, কৌশলগত পরিকল্পনা ও প্রযুক্তিগত সক্ষমতার মাধ্যমে ভবিষ্যতে যেকোনো জটিল পরিস্থিতি মোকাবিলায় সেনাবাহিনী আরও দক্ষভাবে প্রস্তুত থাকবে।
সিএ/এমআরএফ


