২০২৬ সালের সরকারি ছুটির তালিকা অনুমোদন করেছে অন্তর্বর্তী সরকারের উপদেষ্টা পরিষদ। আগামী বছর সরকারি ছুটি থাকবে মোট ২৮ দিন, যার মধ্যে ৯ দিন শুক্রবার ও শনিবারের সাপ্তাহিক ছুটি পড়েছে।
বৃহস্পতিবার (৬ নভেম্বর) রাজধানীর তেজগাঁওয়ে প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত উপদেষ্টা পরিষদের বৈঠকে এই সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়। বৈঠকে সভাপতিত্ব করেন প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস। পরে ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে সাংবাদিকদের কাছে বৈঠকের বিস্তারিত তুলে ধরেন প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম।
তিনি জানান, নির্বাহী আদেশ ও সাধারণ ছুটি মিলিয়ে মোট ছুটি ২৮ দিন। এর মধ্যে ৯ দিন সাপ্তাহিক ছুটি হওয়ায় কার্যদিবসে প্রকৃত সরকারি ছুটি থাকবে ১৯ দিন। উপদেষ্টা পরিষদের বৈঠকে বিষয়টি আনুষ্ঠানিকভাবে অনুমোদন দেওয়া হয়েছে।
এছাড়া বৈঠকে দেশের লজিস্টিক খাতকে আধুনিকায়নের জন্য একটি নতুন লজিস্টিক নীতিমালা অনুমোদন দেওয়া হয়। প্রেস সচিব জানান, পূর্বের ২০২৪ সালের নীতিমালা কার্যকর ছিল না এবং এতে প্রয়োজনীয় দিকনির্দেশনার অভাব ছিল। নতুন নীতিমালায় পরিবহন, রেল ও নৌ যোগাযোগ ব্যবস্থার উন্নয়নের ওপর গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে, যাতে দেশের অভ্যন্তরীণ ও আন্তর্জাতিক বাণিজ্য আরও গতিশীল হয়।
শফিকুল আলম বলেন, “বাংলাদেশের লজিস্টিক খাতের কাঠামো নতুনভাবে সাজাতে এই নীতিমালায় পরিবেশবান্ধব অবকাঠামো উন্নয়ন, পণ্য পরিবহনে দক্ষতা বৃদ্ধি এবং বিদেশি বিনিয়োগ আকর্ষণের সুযোগ তৈরি হবে। আগে চট্টগ্রাম বন্দরে অনেক পণ্য গড়ে ১১ দিন পর্যন্ত পড়ে থাকত, এখন তা কমিয়ে আনা সম্ভব হবে।”
তিনি আরও বলেন, “এই নীতিমালার মূল লক্ষ্য হলো ২০৫০ সালের মধ্যে রেল ও নৌপথের সর্বোচ্চ ব্যবহার নিশ্চিত করা। বর্তমানে প্রায় ৩ হাজার কিলোমিটার নৌ ও রেলপথ থাকলেও এর পূর্ণ সদ্ব্যবহার হচ্ছে না। সরকারি ও বেসরকারি খাতের যৌথ উদ্যোগে এই খাতকে আরও কার্যকর করা হবে।”
নতুন নীতিমালায় ১১টি অধ্যায় রয়েছে এবং এটি দেশের টেকসই, দ্রুত ও পরিবেশবান্ধব লজিস্টিক ব্যবস্থা গড়ে তুলতে সহায়ক ভূমিকা রাখবে বলে আশা করছে সরকার।
সিএ/এমআরএফ


