বাংলাদেশ ও তুরস্কের মধ্যে বাণিজ্য, বিনিয়োগ এবং প্রতিরক্ষা খাতে সহযোগিতা আরও জোরদার করার আহ্বান জানিয়েছেন পররাষ্ট্র উপদেষ্টা মো. তৌহিদ হোসেন। একইসঙ্গে দুই দেশের ঐতিহাসিক বন্ধুত্বকে আরও গভীর করার প্রতিশ্রুতি পুনর্ব্যক্ত করেছেন তিনি।
মঙ্গলবার (৪ নভেম্বর) পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, বাংলাদেশে সফররত পাঁচ সদস্যের তুর্কি সংসদীয় প্রতিনিধি দল পররাষ্ট্র উপদেষ্টা মো. তৌহিদ হোসেনের সঙ্গে তার কার্যালয়ে সৌজন্য সাক্ষাৎ করেছেন। সোমবার (৩ নভেম্বর) বাংলাদেশ-তুরস্ক সংসদীয় মৈত্রী গ্রুপের চেয়ারম্যান মেহমেত আকিফ ইয়িলমাজের নেতৃত্বে প্রতিনিধি দলটি সাক্ষাতে অংশ নেন।
পররাষ্ট্র উপদেষ্টা প্রতিনিধি দলকে স্বাগত জানিয়ে রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীর মানবিক সহায়তায় তুরস্কের অব্যাহত সহযোগিতার জন্য কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন। প্রতিনিধি দল ১ ও ২ নভেম্বর কক্সবাজারে রোহিঙ্গা শিবির পরিদর্শন করে তুর্কি মানবিক সহায়তা কার্যক্রম পর্যালোচনা করেছিলেন।
সাক্ষাতে তৌহিদ হোসেন বাংলাদেশের এবং তুরস্কের ঐতিহাসিক ও সৌহার্দ্যপূর্ণ সম্পর্কের কথা উল্লেখ করে দ্বিপক্ষীয় সহযোগিতা আরও বিস্তৃত ও গভীর করার ওপর গুরুত্বারোপ করেন। তিনি তুরস্কে বাংলাদেশের শিক্ষার্থীদের জন্য উচ্চশিক্ষার সুযোগ বৃদ্ধির পাশাপাশি বাণিজ্য, বিনিয়োগ ও প্রতিরক্ষা খাতে সহযোগিতা জোরদারের আহ্বান জানান। এছাড়া, বাংলাদেশ থেকে দক্ষ ও অদক্ষ কর্মী নিয়োগের ক্ষেত্রে তুরস্কের আগ্রহ বৃদ্ধির প্রত্যাশা ব্যক্ত করেন।
পররাষ্ট্র উপদেষ্টা আরও জানান, বাংলাদেশ সরকার সম্প্রতি দেশে তুরস্কের সাংস্কৃতিক সংস্থা ‘ইউনূস এমরে ইনস্টিটিউট’-এর একটি শাখা স্থাপনের অনুমোদন দিয়েছে, যা দুই দেশের জনগণের মধ্যে পারস্পরিক সম্পর্ক আরও ঘনিষ্ঠ করবে।
সাক্ষাতে বাংলাদেশের কক্সবাজারে রোহিঙ্গা শিবির পরিদর্শনের অভিজ্ঞতা শেয়ার করেন বাংলাদেশ-তুরস্ক সংসদীয় মৈত্রী গ্রুপের চেয়ারম্যান মেহমেত আকিফ ইয়িলমাজ। তিনি বাংলাদেশ সরকারের মানবিক ভূমিকার প্রশংসা করেন এবং বলেন, তুরস্ক বাংলাদেশকে ভ্রাতৃপ্রতিম দেশ হিসেবে বিবেচনা করে।
সাক্ষাতে বাংলাদেশে নিযুক্ত তুরস্কের রাষ্ট্রদূত রামিস সেনও উপস্থিত ছিলেন।
সিএ/এমআরএফ


